দীর্ঘ আলোচনার পর যুক্তরাষ্ট্র সরকার বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর নতুন করে ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে।
হোয়াইট হাউজ শুক্রবার (১লা আগস্ট, ২০২৫) এক বিবৃতিতে এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে।
এ বিষয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। শুক্রবার সকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, বাণিজ্য উপদেষ্টা তাঁর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘বাংলাদেশের ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করায় আমরা প্রতিযোগিতামূলক অবস্থায় থাকব। যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা নেই। তবে আমরা ২০ শতাংশের নিচে প্রত্যাশা করেছিলাম।’
তিনি আরও লেখেন, বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় দফার শুল্ক আলোচনা শেষ হওয়ার পর হোয়াইট হাউস থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, বাংলাদেশের ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। এর আগে এই শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল ৩৭ শতাংশ। পরে কমিয়ে ৩৫ শতাংশ করা হয়। আজ চূড়ান্ত আলোচনা শেষে শুল্ক ২০ শতাংশের ঘোষণা এলো।
যুক্তরাষ্ট্র সফররত বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান, বাণিজ্যসচিব মাহবুবুর রহমান এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নাজনীন কাউসার চৌধুরী। প্রতিনিধিদলটি শুল্ক হ্রাসের লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধির (ইউএসটিআর) সঙ্গে টানা তিন দিন আলোচনা চালায়।
হোয়াইট হাউসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক নির্বাহী আদেশে বাংলাদেশ ছাড়াও আরও কয়েকটি দেশের ওপর আরোপিত শুল্কের হার উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ, পাকিস্তানের ওপর ১৯ শতাংশ, আফগানিস্তানের ওপর ১৫ শতাংশ, ব্রাজিলের ওপর ১০ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়ার ওপর ১৯ শতাংশ, মালয়েশিয়ার ওপর ১৯ শতাংশ, মিয়ানমারের ওপর ৪০ শতাংশ, ফিলিপাইনের ওপর ১৯ শতাংশ, শ্রীলঙ্কার ওপর ২০ শতাংশ এবং ভিয়েতনামের ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।
ডিবিসি/এমইউএ