যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার দ্বিতীয় মেয়াদের শুরু থেকেই চীনের ওপর শুল্ক আরোপ করেছেন, যার কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে ফেন্টানাইলের মতো ভয়াবহ ও প্রাণঘাতী মাদক যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রবেশে চীনের ভূমিকা।
তবে বেইজিংয়ের পক্ষ থেকে বরাবরই স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে, ফেন্টানাইল সংকট "যুক্তরাষ্ট্রের সমস্যা" এবং চীন এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই "ব্যাপক কাজ" করেছে।
গত মার্চ মাসে ট্রাম্প প্রশাসন যখন ফেন্টানাইল-সম্পর্কিত শুল্ক বাড়িয়ে চীনের সমস্ত আমদানির উপর ২০% করে, তখন চীনের একজন মুখপাত্র বলেন, "আমরা সমতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাস্তবসম্মত সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত। তবে, ফেন্টানাইল ইস্যুকে অজুহাত করে যুক্তরাষ্ট্র চীনের ওপর চাপ সৃষ্টি, হুমকি এবং ব্ল্যাকমেল করার তীব্র বিরোধিতা করছি।"
কয়েক মাস পেরিয়ে গেলেও এই শুল্ক এখনও বলবৎ আছে। অন্যান্য শুল্ক কিছুটা শিথিল হলেও বেইজিং এখন এই ইস্যুটির প্রতি মনোযোগ দিচ্ছে এবং আরও পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত বলে ইঙ্গিত দিয়েছে।
গত মাসের শেষের দিকে চীন ঘোষণা করেছে যে তারা আরও দুটি ফেন্টানাইল পূর্ববর্তী উপাদানকে তাদের নিয়ন্ত্রিত পদার্থের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করবে। এটি একটি প্রত্যাশিত পদক্ষেপ ছিল যা আন্তর্জাতিক নিয়মাবলীর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। চীনের কূটনীতিকরা এটিকে বৈশ্বিক মাদক নিয়ন্ত্রণে তাদের "সক্রিয় অংশগ্রহণ" হিসেবে তুলে ধরেছেন।
এর কয়েক দিন আগে, চীনা কর্তৃপক্ষ নিতাজেনস (nitazenes) নামে পরিচিত আরও একটি শ্রেণীর মাদকের উপর নিয়ন্ত্রণ বাড়িয়েছে। এটি একটি শক্তিশালী সিন্থেটিক ওপিওড যা বিশ্ব স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
একই দিনে, চীনের জননিরাপত্তা মন্ত্রী ওয়াং জিয়াওহং যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ডেভিড পারডিউকে জানান যে বেইজিং মাদক নিয়ন্ত্রণে "বাস্তবসম্মত সহযোগিতা" জোরদার করতে ইচ্ছুক।
তথ্যসূত্র সিএনএন।
ডিবিসি/এমইউএ