আল জাজিরার প্রতিবেদন

যুদ্ধবিরতি ছাড়া অন্য কোনো পথ খোলা ছিল না নেতানিয়াহুর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ডিবিসি নিউজ

মঙ্গলবার ২৪শে জুন ২০২৫ ০২:১৮:৫৬ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ওরি গোল্ডবার্গ আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ইরানের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির আগে ইসরায়েল তার সকল উদ্দেশ্য অর্জন করেছে বলে যে দাবি করছে, তা "হাস্যকর"। তার মতে, ইরানের পাল্টা হামলায় ক্ষয়ক্ষতি এবং ট্রাম্প প্রশাসনের চাপের কারণেই প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর যুদ্ধবিরতিতে রাজি হওয়া ছাড়া আর কোনো বিকল্প ছিল না।

তেল আবিব থেকে গোল্ডবার্গ বলেন, "ইসরায়েলের লক্ষ্য ঠিক কী ছিল, তা একেবারেই অস্পষ্ট। গত এক সপ্তাহ ধরে আমরা ইসরায়েলকে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ধ্বংস করা থেকে শুরু করে সরকার পরিবর্তনের মতো বড় বড় কথা বলতে শুনেছি।"

 

তিনি আরও বলেন, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার কিছু ক্ষতি হলেও তাদের সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের ভান্ডার ধ্বংস হয়েছে কিনা, তা "সম্পূর্ণ অনিশ্চিত"। গোল্ডবার্গের মতে, যেহেতু শুরু থেকেই ইরানের পক্ষ থেকে ইসরায়েলের জন্য কোনো "আসন্ন পারমাণবিক হুমকি" ছিল না, তাই পরিস্থিতির "কোনো মৌলিক পরিবর্তন হয়নি"।

 

গোল্ডবার্গ মনে করেন, দুটি প্রধান কারণে ইসরায়েল যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হতে বাধ্য হয়েছে: প্রথমত, ইরানের ক্রমাগত হামলায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেড়ে যাওয়া এবং দ্বিতীয়ত, ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে আসা চাপ।

 

তিনি বলেন, "নেতানিয়াহু ইসরায়েলের ভাগ্যকে ট্রাম্পের গাড়ির সঙ্গে জুড়ে দিয়েছিলেন, তাই তার আর কোনো বিকল্প ছিল না। তিনি জুয়া খেলেছিলেন যে ট্রাম্প তাকে উদ্ধার করতে আসবেন। ট্রাম্প সেটাই করেছেন, এবং এর ফলে নেতানিয়াহু এখন ট্রাম্পের লক্ষ্য পূরণে সহায়তা করতে বাধ্য।"

 

গোল্ডবার্গের মতে, ট্রাম্পের মূল উদ্দেশ্য ছিল একটি আঞ্চলিক চুক্তি নিশ্চিত করা, কোনো আঞ্চলিক যুদ্ধ শুরু করা নয়, আর নেতানিয়াহু সেই উদ্দেশ্য পূরণে এখন দায়বদ্ধ।

 

তথ্যসূত্র আল জাজিরা

 

ডিবিসি/এমইউএ

আরও পড়ুন