যুদ্ধ বেঁধেছে ভারত পাকিস্তানে, আর ঢাকার পুঁজিবাজার থেকে একদিনেই উধাও গেছে ১০ হাজার কোটি টাকা। পাকিস্তানে হামলার পর খোদ মুম্বাই স্টক মার্কেটের সূচক চাঙা হলেও ঢাকার পুঁজিবাজারের সূচক ১৪৯ পয়েন্ট কমে যায়। সামরিক উত্তেজনায় যেখানে ভারতীয় পুজিঁবাজার ঊর্ধ্বমূখী সেখানে দেশে এমন পতন যৌক্তিক নয় বলছেন সংশ্লিষ্টরা। আতঙ্ক ছড়িয়ে কেউ বাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে কি না, তার তদন্ত চান তারা।
এর আগে মঙ্গলবার (৬ই মে) দিবাগত রাতে ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অপেরশন সিদুর পরিচালনা করে। এর প্রভাবে বুধবার ভারতের পুজিঁবাজার সেনসেক্স এবং নিফটিতে দেখা যায় উধ্বমূখী। দিনশেষে সেনসেক্স এর সূচক বৃদ্ধি পায় ১০৬ পয়েন্ট। তবে পাকিস্তানে চিত্র কিছুটা ভিন্ন, সেখানে সূচক কমে কিছুটা।
তবে ওই দিনই ঢাকার প্রধান পুজিঁবাজার ডিএসইর প্রধান সূচক ১৪৯ পয়েন্ট পড়ে যায়। দর হারায় অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার। একদিনে ডিএসই মুলধন থেকে বেরিয়ে যায় ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি। তবে বৃহস্পতিবার পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও হতাশ বিনিয়োগকারীরা।
প্রতিবেশী দুই দেশের সামরিক উত্তেজনার প্রভাবে দেশের পুজিঁবাজারের এমন অবস্থা অযৌক্তিক। এমন উল্লেখ করে আতঙ্ক ছড়িয়ে কেউ সুযোগ নিচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখার পরামর্শ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান ড. ফারুক আহমেদ সিদিক্কী'র।
বাজারের এমন টালমাটাল পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার (৮ই মে) লেনদেন শেষে মতিঝিলে বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর এ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে একদল ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী বিএসইসির চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করে।
ডিবিসি/ অমিত