ইরানের সঙ্গে চলমান যুদ্ধ আর চায় না দখলদার ইসরায়েল। খুব শিগগিরই এর অবসান চায় তেলআবিব। খবর মার্কিন সংবাদ মাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের।
সোমবার (২৩শে জুন) সংবাদ মাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েল আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই ইরানের বিরুদ্ধে তাদের ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামক সামরিক অভিযান শেষ করার বার্তা দিয়েছে। এই বার্তাটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং আরব মিত্রদের মাধ্যমে ইরানের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
ইসরায়েলি ও আরব কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র আরব মিত্রদের অনুরোধ করেছে তারা যেন ইরানকে জানায় যে ইসরায়েল দ্রুত এই অভিযান শেষ করতে আগ্রহী। তবে, মার্কিন হামলার পর ইরান পালটা জবাব দেওয়ার প্রতি মনোযোগ দিয়েছে। যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে।
ইসরায়েলের চ্যানেল ১২ টেলিভিশন জানিয়েছে, ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’-এর মূল উদ্দেশ্য— ইরানের পারমাণবিক ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের হুমকি দূর করা— আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই অর্জিত হবে বলে ইসরায়েল বিশ্বাস করে।
ইসরায়েলি ও আরব কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র আরব মিত্রদের অনুরোধ করেছে তারা যেন ইরানকে জানায় যে ইসরায়েল দ্রুত এই অভিযান শেষ করতে আগ্রহী। তবে, মার্কিন হামলার পর ইরান পালটা জবাব দেওয়ার প্রতি মনোযোগ দিয়েছে। যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে।
ইসরায়েলের চ্যানেল ১২ টেলিভিশন জানিয়েছে, ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’-এর মূল উদ্দেশ্য— ইরানের পারমাণবিক ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের হুমকি দূর করা— আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই অর্জিত হবে বলে ইসরায়েল বিশ্বাস করে। তবে যুদ্ধবিরতির বিষয়টি পুরোপুরি ইরানের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে বলে জানিয়েছেন এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা। তিনি বলেন, “এটি ইরানের ওপর নির্ভর করে, আমাদের ওপর নয়। ইরান যদি তার পারমাণবিক কর্মসূচি পুরোপুরি বন্ধ করতে রাজি হয়, তাহলে আমরা এখনই অভিযান শেষ করতে প্রস্তুত।”
চ্যানেল ১২-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুদ্ধ থামানোর দুটি সম্ভাব্য উপায় রয়েছে। প্রথমত, ইসরায়েল একতরফাভাবে তার সামরিক লক্ষ্য অর্জনের ঘোষণা দেবে এবং ইরান ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বন্ধ করবে। দ্বিতীয়ত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উভয় পক্ষের সম্মতিতে একটি যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেবে, যা ইসরায়েলের কাছে কম পছন্দের একটি বিকল্প।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ‘ওয়ালা’ হুঁশিয়ারি দিয়েছে যে, ইরান যদি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বন্ধ না করে, তবে ইসরায়েল তাদের হামলার তীব্রতা আরও বাড়াবে এবং এবার লক্ষ্যবস্তু হবে ইরানের শাসনব্যবস্থাকে দুর্বল করে দেওয়া। তেহরানে হামলাগুলোকে এরই একটি ‘পূর্বাভাস’ হিসেবে দেখা হচ্ছে। নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, যুদ্ধ বন্ধে প্রধান বাধা হিসেবে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকেই দেখছে ইসরায়েল।
ইসরায়েলি কর্মকর্তারা আশা করছেন, মার্কিন ও ইসরায়েলি যৌথ চাপ ইরানকে শেষ পর্যন্ত আলোচনার টেবিলে ফিরে আসতে এবং তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি স্থায়ীভাবে বন্ধ করার চুক্তিতে রাজি হতে বাধ্য করবে। তবে তারা এটাও স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, তেহরান যদি ভবিষ্যতে গোপনে পারমানবিক কর্মসূচি চালু করার চেষ্টা করে, তবে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী আবারও হামলা চালাবে।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছিলেন, ইসরায়েল ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণবিক স্থাপনার উল্লেখযোগ্য ক্ষতি সাধন করে তার লক্ষ্যের খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। তিনি প্রতিশ্রুতি দেন যে, ইসরায়েল ইরানের সাথে একটি দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধে জড়াবে না, তবে সকল উদ্দেশ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত অভিযান বন্ধ হবে না।
ডিবিসি/এএনটি