আওয়ামী যুবলীগের আসন্ন সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটিতে চয়ন ইসলামকে আহ্বায়ক করা হয়েছে। রবিবার, প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে যুবলীগের শীর্ষ নেতাদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
যুবলীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে গণমাধ্যমে চয়নের নাম আসার পর থেকেই নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে তাকে নিয়ে আগ্রহ দেখা দিয়েছে।
চয়ন ইসলাম সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার চর নবীপুর গ্রামের অধিবাসী। উপজেলা শহরেই বসবাস করে তার পরিবার। সিরাজগঞ্জে সম্ভ্রান্ত, মার্জিত ও আওয়ামী রাজনীতিতে বিশ্বস্ত পরিবারগুলোর অন্যতম চয়ন ইসলামের পরিবার। যুবলীগের ত্যাগী নেতারা বলছেন, যুবলীগের ক্রান্তিকালে চয়ন ইসলামের মতো সজ্জন, ত্যাগী ও গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিত্বকে দায়িত্ব দেওয়ায় যুবলীগের নেতা-কর্মীরাও উজ্জীবিত হবেন। নেত্রী সঠিক ব্যক্তিকে যোগ্য স্থান দিয়েছেন বলেও মনে করছেন তারা।
চয়ন ইসলাম রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেছেন। তিনি ১৯৭৭ সালে শাহজাদপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এরপর, তিনি কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হন। দুই দশকের বেশি সময় তিনি প্রেসিডিয়াম সদস্য পদে আছেন। ১৯৯৮ সালের উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য হয়ে জাতীয় সংসদে যান তিনি। ২০০৮ সালের নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে বিজয়ী হয়ে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন চয়ন ইসলাম।
তবে, শাহজাদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা ও অসহযোগিতায় পূর্ণাঙ্গ কমিটির দিতে না পারার কারণ দেখিয়ে ২০১৪ সালের ১৭ই অক্টোবর সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন তিনি।
চয়নের বাবা মাজহারুল ইসলাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য। তিনি বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তার চাচা ড. আব্দুল খালেক আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য। বোন মেরিনা আক্তার কবিতা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। তার স্ত্রী লিলি ইসলাম গুণী রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী। তিনি শান্তি নিকেতনের শিক্ষার্থী ছিলেন। রবীন্দ্র সংগীতের উপর ডক্টরেট ডিগ্রীও অর্জন করেন তিনি।
যুবলীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়কের দায়িত্ব পাওয়ার পর, ডিবিসি নিউজকে চয়ন ইসলাম বলেন, বিতর্কের ঊর্ধ্বে থেকে সৎ ও যোগ্যদের হাতে যুবলীগের নেতৃত্ব তুলে দেয়াই মূল চ্যালেঞ্জ। কিছু অসাধু লোকের জন্য যুবলীগের ঐতিহ্য ও সুনাম নষ্ট হওয়া মেনে নেয়া যায় না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্মেলন সম্পন্ন করাই এখন উদ্দেশ্য।