বিবিধ, লাইফস্টাইল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

ফোন ট্র্যাকিং বুঝার উপায়, বন্ধ করতে যা করবেন

ডেস্ক নিউজ

ডিবিসি নিউজ

মঙ্গলবার ২০শে ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০২:৫৪:১২ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

ঘরে ঘরে এখন স্মার্টফোন। এসব স্মার্টফোনে যেমন নানা সুবিধা ভোগ করা যায়, তেমনি পড়তে হয় নানা ভোগান্তিতেও। এমন একটি ভোগান্তি বা সমস্যা হলো ট্র্যাকিং। ট্র্যাকিং এর শিকার হলে গোপন বলে আর কিছুই থাকবে না। আপনার ব্যক্তিগত তথ্য, ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবিসহ সবকিছুই চলে যাবে অন্যের হাতে।

এতে হুমকিতে পড়তে পারে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর নিরাপত্তার বিষয়টি। এ ধরনের পরিস্থিতিতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। খানিকটা সতর্ক থাকলে এ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। নিচের পদ্ধতি অনুসরণ করে বন্ধ করে রাখুন আপনার ফোনের ট্র্যাকিং।

 

*কীভাবে বুঝবেন আপনার ফোন ট্র্যাকিং হচ্ছে? -
১. নোটিফিকেশন প্যানেলে ডিভাইস লোকেটেড লেখা কোনো নোটিফিকেশন আসে কি না খেয়াল রাখুন। 
২. ফাইন্ড গুগল ছাড়া স্ট্যাটাস বারে লোকেশন ইনফরমেশন আইকন দেখা যায় কি না খেয়াল করুন। 
৩. ট্র্যাকিং হচ্ছে কি না জানতে বিভিন্ন কোড ডায়াল করে দেখতে পারেন। যেগুলো ফোন ট্র্যাকিং করা হলে সম্ভাব্য কিছু প্রতিক্রিয়া দেখাবে। যেমন *# ৬১# লিখে ডায়াল করলে ইনকামিং কলগুলো অন্য কোনো নম্বরে ফরওয়ার্ড করা হয় কি না, তা জানাবে। একইভাবে *# ৬২# ডায়াল করে দেখা যাবে, কোনো ৪. ৪. ৪. ডাইভারশন সফটওয়্যার বিভিন্ন কল ও টেক্সটকে আপনার কাছে পৌঁছাতে বাধা দেয় কি না। এরপরও যদি মনে করেন নিরাপত্তা হুমকির মুখে, তাহলে স্থানীয় থানায় যোগাযোগ করুন।

 

*ট্র্যাকিং বন্ধ রাখতে যা করণীয়-

১. অ্যান্ড্রয়েড ফোনে সব সময় লোকেশন বার বন্ধ করে রাখুন। 
২. ট্র্যাকিং থেকে বাঁচতে ফোনের জিপিএস অপশনটি বন্ধ করে রাখতে হবে। 
৩. যদি আসে, তাহলে ফোনে লগইন করা জি-মেইলের পাসওয়ার্ড বদলে ফেলতে হবে। 
৪. যদি ফাইন্ড গুগল ছাড়া স্ট্যাটাস বারে লোকেশন ইনফরমেশন আইকন দেখা যায়, তাহলে বুঝবেন আপনার মোবাইল ফোনের সেটে স্পাই অ্যাপ আছে। সমাধান পেতে, ফোনের ডেভেলপার অপশনে চলে যান। সেখান থেকে রানিং সার্ভিস অপশনে গিয়ে সন্দেহজনক কোনো অ্যাপ চোখে পড়লে সোজা আন-ইনস্টল করে দিন। 
৫. ট্র্যাকিং হওয়ার বিষয় একবার নিশ্চিত হয়ে গেলে ফোনের সেটিংসে যান এবং ‘লোকেশন’ সেটিংস অফ করে দিন। এটি ফোনকে আপনার অবস্থান সংগ্রহ করা বন্ধ করতে সাহায্য করবে। 
৬. চাইলে ডিভাইসে একটি ভিপিএন ব্যবহার করুন। এটি আপনার ইন্টারনেট ট্রাফিকটিকে এনক্রিপ্ট করে এবং আপনার অবস্থান গোপন রাখতে সাহায্য করবে। 
৭. এ ছাড়াও নিরাপদ থাকতে ফোনকে ট্র্যাকিং থেকে রক্ষা করার জন্য একটি লক স্ক্রিন ব্যবহার এবং শক্তিশালী পাসওয়ার্ড বা ফাংশনাল প্যাটার্ন দিয়ে সুরক্ষিত রাখার চেষ্টা করতে হবে। 
৮. ফোন রুট করা থেকে বিরত থাকুন। কারণ, অনেক সময় রুটের মাধ্যমে ফোনের এক্সেস পেয়ে যায়, এতে ফোনের তথ্যাদি চুরি হতে পারে। 
৯. অনাকাঙ্ক্ষিত মেসেজ, যেমন স্প্যাম বক্সের জমা করা মেসেজ খোলা থেকে বিরত থাকুন। 
১০. যে কোনও লিংক থেকে সফটওয়্যার ডাউনলোড করা উচিত নয় এবং কোনও ধরনের সফটওয়্যার ডাউনলোড করার ক্ষেত্রে গুগল প্লে স্টোর ব্যবহার করা ভালো। 
 

আরও পড়ুন