আবহাওয়া পরিবর্তন হচ্ছে। চলে আসছে শীতকাল। বাতাসে বাড়ছে শুষ্কতা। আর বায়ুদুষণ তো আছেই। দূষণের সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ফুসফুসের সমস্যা। কারণ বায়ুদূষণের মধ্যে ফুসফুস ভালো রাখাই কঠিন।
এ কারণে ফুসফুসের সংক্রমণ বেড়ে চলেছে। এমন অবস্থায় সুস্থ থাকা ও ফুসফুস ভালো রাখা বেশ বড়সড় চ্যালেঞ্জ। ফুসফুস ভালো রাখার জন্য কিছু পানীয় ম্যাজিকের মত কাজ করে।
সাধারণত খাবারের সুগন্ধ বাড়াতে এলাচ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। সুগন্ধের জন্য বিখ্যাত মশলা হলো এলাচ। তবে এটা যে শুধু সুগন্ধী হিসেবে কাজ করে তা নয়, বরং এর উপকারিতা আমাদের শরীর ভালো রাখতে সহযোগিতা করে। এলাচ দেয়া চা খেলে তা ফুসফুস ঠিক রাখতে সাহায্য করে। একইসাথে পাঁচনতন্ত্রকেও ঠিক রাখে।
উপকারী পানীয়ের উপরের দিকেই আছে গ্রীন টি-এর নাম। গ্রীন টি-তে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা ফুসফুসের যেকোন সমস্যার সমাধান করে সহজে। তাই ফুসফুস ভালো রাখতে আপনার খাবারের তালিকায় যোগ করুন গ্রীন টি।
আমাদের পরিচিত পানীয়ের মধ্যে রয়েছে আদা চা। এই চা খাওয়ার অভ্যাস মোটামুটি সব বাড়িতেই রয়েছে। সাধারণত ঠান্ডা কিংবা সর্দি-কাশির জন্য এ চা পান করা হয়। তবে আদা চা নিয়মিত পান করলে তা আপনার ফুসফুসের সুস্থতায়ও কাজ করবে। আদা চায়ে থাকে প্রচুর অ্যান্টি ইনফ্লেমটরি বৈশিষ্ট্য যেটা আপনার ফুসফুসকে ভালো রাখতে এবং বাযু দুষণের কারণে সৃষ্ট সমস্যা সহজেই দূর করে।
আমাদের শরীরে জমে থাকা টক্সিক উপাদানগুলো দূর করে হলুদ। নানারকম উপকারিতায় ঠাসা হলুদ। প্রতিদিন হলুদমিশ্রিত পানীয় খেলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা অনেকটাই কমে আসে। এতে থাকা কারকিউমিন নামক উপদানে ফুসফুসের স্বাস্থ্য উন্নত করে ও প্রাকৃতিকভাবে শক্তিশালী করে। প্রতরিাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে দুধ অথবা পানির সাথে হলুদ মিশিয়ে পান করলে উপকার পাওয়া যায়।
কাশি ও শ্লেষ্মা দূর করার ক্ষেত্রে তুলসী পাতার রয়েছে উপকারী ভূমিকা। শ্বাসকষ্টের সমসন্যা দূরীকরণেও রয়েছে বড় ভূমিকা। নিয়মিত তুলসি চা খেলে ফুসফুস নিয়ে করতে হবেনা বাড়তি চিন্তা। কারণ এতে ফুসফুসের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
প্রতিদিন মধু খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে অনেক। মিষ্টি স্বাদের হলেও প্রাকৃতিক বলে মধু খেতে পারেন সবাই। চিনির স্বাস্থ্যকর বিকল্প হিসেবেও বেছে নেয়া হয়। এদিকে ভিটামিন সি-তে ভরপুর লেবুর উপকারিতা নিয়ে নতুন কিছু বলার নেই।
রোজকার চায়ের সঙ্গে এই দুই উপাদান যোগ করলে তার সুফল নিজেই দেখতে পাবেন। নিয়মিত লেবু ও মধু দিয়ে চা পান করলে তা ফুসফুসে জমা কফ দূর করতে সাহায্য করে। যেকারণে ফুসফুসের সমস্যায় আরাম হয়।