বাংলাদেশ, জাতীয়, রাজনীতি, অর্থনীতি, জেলার সংবাদ

যে কারণে পেছাল পদ্মা সেতুর উদ্বোধন

সামান্তা সাইদ খান

ডিবিসি নিউজ

বৃহঃস্পতিবার ৭ই এপ্রিল ২০২২ ০৩:৩১:৪৫ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশ থেকে পদ্মা সেতুর বেশকিছু যন্ত্রপাতি আসতে দেরি হওয়ার কারণে ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

চলতি বছরের জুন মাসে পদ্মা বহুমুখী সেতু যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তবে  জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, চলতি বছরের শেষ নাগাদ পদ্মা সেতু যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।

বুধবার জাতীয় সংসদে সরকারি দলের সদস্য শহীদুজ্জমান সরকারের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। তবে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের তারিখ পেছানোর কারণ জানালেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

তিনি বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্তের তারিখ পেছানো হয়েছে। বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক নিয়ে সংবাদ ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, মার্চ মাসের মধ্যে যেসব মালামাল আসার কথা ছিল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সেগুলো আসতে পারেনি।তাই জুন মাসে পদ্মাসেতু যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়ার কথা থাকলেও তা কিছুটা দেরি হতে পারে। যার কারণে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন চলতি বছরের শেষ নাগাদ যান চলাচলের জন্য খুলে দিতে দ্রুত কাজ করা হচ্ছে।

এর আগে সংসদে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের সাহসী পদক্ষেপের অংশ হিসেবে সব বাধা পেরিয়ে বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের জন্য পদ্মা সেতু হতে যাচ্ছে। এটা ইতিহাসের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জিং প্রকল্পগুলোর একটি।

তিনি বলেন, পদ্মা সেতু প্রকল্পের উভয় প্রান্তে সংযোগ সড়ক ও সার্ভিস এরিয়ার কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে।

তিনি বলেন, মূল সেতুর ভৌত অগ্রগতি ৯৬ দশমিক ৫০ শতাংশ। বর্তমানে সেতুতে কার্পেটিং, ভায়াডাক্ট কাপের্টিং, ওয়াটারপ্রুফ মেমব্রেন, মূল সেতু ও ভায়াডাক্টের মুভমেন্ট জয়েন্ট, ল্যাম্প পোস্ট, অ্যালুমিনিয়াম রেলিং, গ্যাসের পাইপলাইন, ৪শ’ কেভিএ বিদ্যুৎ এবং রেললাইন নির্মাণের কাজ চলমান। ২০২২ সালের শেষ নাগাদ পদ্মা সেতু যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার ২০১৪ সালে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার লম্বা এবং ১৮ দশমিক ১০ মিটার দৈর্ঘ্য পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ নিজ দেশের সরকারের অর্থায়নে শুরু করে । ২০১৫ সালের ডিসেম্বর নাগাদ সেতুর নির্মাণকাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দেশের কিছু স্বার্থান্বেষী মহলের ষড়যন্ত্রের কারণে বিশ্ব ব্যাংক পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজে অর্থায়ন বন্ধ করে দেয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

 প্রধানমন্ত্রী সংসদকে জানান, পদ্মা সেতু প্রকল্পের সংশোধিত ব্যয় ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।

আরও পড়ুন