একটি প্রবেশপথ খুলে রেখে তার পাশে পুলিশ পাহারা বসানোর কারণে লোকজনের আসা-যাওয়া কমে গেছে। এতে আয় কমে যাওয়ায় মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন অন্তত ৫ হাজার বাসিন্দা।
দেশের দক্ষিণাঞ্চলে একুশ জেলার প্রবেশদ্বার দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের পাশেই দৌলতদিয়া পতিতালয়। ভোটার তালিকায় ১২শ' যৌনকর্মীর নাম থাকলেও এই পল্লীতে বসবাস প্রায় ৫ হাজার লোকের।
গত বছরের ১৭ই সেপ্টেম্বর নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে দেশের সবচেয়ে বড় যৌনপল্লী রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ার ৭টি প্রবেশ পথের মধ্যে প্রধান প্রবেশপথটি খোলা রেখে বাকি ৬টি পথই বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ।
এতে করে যৌনপল্লীতে আসা-যাওয়া কমে যায় মানুষের। ফলে মানবেতর জীবনযাপন করছে যৌনকর্মীরা। ঘর-ভাড়া, বিদ্যুৎ বিল, খাবারসহ পল্লীর শিশুদেরকে নিয়ে বিপাকে পড়তে হয়েছে তাদের।
পুলিশের দাবি প্রধান পথটি ছাড়া বাকি সবগুলো পথেই মাদক কারবার, নারী-পাচারসহ বিভিন্ন অপরাধ সংগঠিত হয়। তাই পথগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আর, এই পল্লীর যৌনকর্মীরা পুনর্বাসিত হতে চাইলে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন রাজবাড়ীর জেলা-প্রশাসক দিলসাদ বেগম।
সঠিকভাবে পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দৌলতদিয়ার যৌনকর্মীরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাক এমনটি প্রত্যাশা সচেতন মহলের।