কর্ণফুলী নদীতে তীব্র স্রোতের কারণে রাঙামাটির চন্দ্রঘোনা-রাইখালি নৌ-রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ই আগস্ট) সকাল ৬টা থেকে নিরাপত্তা ঝুঁকি এড়াতে সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) এই সিদ্ধান্ত নেয়।
কাপ্তাই হ্রদের পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সবকটি (১৬টি) জলকপাট তিন ফুট করে খুলে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে কর্ণফুলী নদীতে তীব্র স্রোত সৃষ্টি হয়েছে, যা ফেরি চলাচলের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। প্রতি সেকেন্ডে বর্তমানে ৫৮ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলী নদী দিয়ে নিষ্কাশিত হচ্ছে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ চাকমা জানান, "নদীর তীব্র স্রোতের কারণে নিরাপত্তার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ফেরি চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। স্রোতের তীব্রতা কমে এলে পুনরায় ফেরি চলাচল স্বাভাবিক করা হবে।"
এদিকে, ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় এই পথ দিয়ে রাঙামাটির রাজস্থলী উপজেলা এবং বান্দরবান জেলায় যাতায়াতকারী হাজার হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য তাদের বিকল্প পথে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হচ্ছে, যা সময়সাপেক্ষ এবং ব্যয়বহুল।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, কাপ্তাই হ্রদে বর্তমানে পানির স্তর ১০৮.৭৯ এমএসএল (মিন সি লেভেল)-এ অবস্থান করছে। পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির পাঁচটি ইউনিটই বর্তমানে চালু রয়েছে এবং সর্বমোট ২১৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
ডিবিসি/আরএসএল