রাঙামাটির পাহাড়ে উৎপাদিত বাঁশে ব্যাপক সম্ভাবনা দেখছে বনবিভাগ, তবে ন্যায্য দাম না পাওয়ার অভিযোগ করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। একসময় এখানকার বাঁশ দিয়ে কাপ্তাইয়ের কর্ণফুলী পেপার মিলসের কাগজের চাহিদা মেটানো হতো, কিন্তু এখন সেই চাহিদা আর নেই।
বর্তমানে কাপ্তাইয়ের কুতকছড়ি এলাকা দিয়ে নদীপথে কাউখালী, নানিয়ারচর ও সদর উপজেলার পাহাড়ি অঞ্চল থেকে বাঁশ সংগ্রহ করে ফরিদপুর, ঢাকা, কুমিল্লা, ভৈরব, নোয়াখালী, কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হয়।
স্থানীয়দের চাষের পাশাপাশি এখানকার সংরক্ষিত বনাঞ্চলে মুলি, টেংরা মুলি, ওরাহ, মিতিঙ্গাসহ বিভিন্ন প্রজাতির বাঁশ প্রাকৃতিকভাবেই উৎপাদিত হয়। তবে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, পাইকারদের কাছ থেকে তারা বাঁশের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না। এর ওপর রয়েছে সড়কে পুলিশের চাঁদাবাজির অভিযোগ।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী জানান, চাহিদার কারণে পাহাড়ে বাঁশ চাষে ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। বনবিভাগ বছরে প্রায় ৫৫ লাখ বাঁশ থেকে দেড় কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করে থাকে।
ডিবিসি/কেএলডি