রাজধানীর দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি এফটি-সেভেন বিজিআই মডেলের প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় এর নিরাপত্তা ও সক্ষমতা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। এভিয়েশন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিমানটির মডেল পুরনো প্রযুক্তির হলেও উড়োজাহাজটি নতুন। তবে, এর দুর্ঘটনার হার বেশি হওয়ায় ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় প্রশিক্ষণ ফ্লাইট পরিচালনাকে বড় ঝুঁকি হিসেবে দেখছেন তারা এবং এ ধরনের ফ্লাইট বন্ধের পরামর্শ দিয়েছেন।
চীনের চেংদু এয়ারক্রাফট করপোরেশনের তৈরি এফটি-সেভেন বিজিআই মডেলটি বিশেষভাবে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর জন্য তৈরি করা হয়েছিল এবং ২০১৩ সালে হস্তান্তর করা হয়। এটি এফ-সেভেন সিরিজের সবচেয়ে আধুনিক এবং সর্বশেষ সংস্করণ, যার পর এই সিরিজের বিমান তৈরি বন্ধ হয়ে যায়। সম্প্রতি মাইলস্টোন কলেজে দুর্ঘটনার পর বিমানটির সক্ষমতা নিয়ে আবারও আলোচনা শুরু হয়েছে।
এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ গ্রুপ ক্যাপ্টেন (অব.) মফিজুর রহমান এবং এয়ার কমোডর (অব.) ইশফাক ইলাহী চৌধুরী জানান, ফাইটার হিসেবে এই সিরিজটি নিরাপদ হলেও প্রযুক্তিগতভাবে এটি পুরনো, যা প্রায় দ্বিতীয় প্রজন্মের যুদ্ধবিমানের সমতুল্য। বিমানবাহিনীর সাবেক এই কর্মকর্তারা বলেন, আধুনিকায়নের জন্য বিভিন্ন সময়ে তাগিদ দেওয়া হলেও কোনো সরকারই কার্যকর উদ্যোগ নেয়নি, ফলে বিমানবাহিনীকে এসব পুরনো প্রযুক্তির বিমানের ওপরই নির্ভর করতে হচ্ছে।
মাইলস্টোনের দুর্ঘটনাটিকে একটি সতর্কবার্তা হিসেবে উল্লেখ করে বিশেষজ্ঞরা বলেন, এই ট্র্যাজেডি থেকে শিক্ষা না নিলে ভবিষ্যতে আরও ভয়াবহ দুর্ঘটনার শঙ্কা রয়েছে। এয়ার কমোডর (অব.) ইশফাক ইলাহী চৌধুরী বলেন, "১৯৮৮ সালেই বিমানবাহিনীর ঘাঁটি রাজধানী থেকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি।" তিনি অবিলম্বে ঢাকা থেকে প্রশিক্ষণ ফ্লাইট পরিচালনা বন্ধ করার পরামর্শ দেন।
ডিবিসি/আরএসএল