ইশরাক হোসেনের শপথ নিয়ে আদালতের পর্যবেক্ষণ নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীনভাবে কাজ করার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য কাজ করায় এখনও শপথ নিতে দেয়া হয়নি।
এছাড়া সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে বিষয়টিকে বিতর্কিত করছে। এসব কথা বলেছেন আইনজীবীরা। আর নির্বাচন কমিশন বলছে, ইশরাকের শপথ বিষয়ে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা হাতে পেলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
২০২০ সালের ১লা ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস মেয়র নির্বাচিত হন। নির্বাচনে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ফলাফল বাতিল চেয়ে ৩রা মার্চ মামলা করেন বিজিত প্রার্থী বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন।
গত বছরের ৫ই আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ১৯শে আগস্ট দেশের সকল সিটি করপোরেশনের মেয়রকে অপসারণ করা হয়। এর মধ্যে চলতি বছরের ২৭শে মার্চ ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনি ট্রাইব্যুনাল ইশরাক হোসেনকে ডিএসসিসির মেয়র হিসেবে রায় দেয়।
অবশ্য রায় ঘোষণার এক মাস পর ২৭শে এপ্রিল গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। তবে এখনও পর্যন্ত মেয়র হিসেবে ইশরাককে শপথ করানো হয়নি। ফলে ইশরাকের সমর্থকরা নামেন আন্দোলনে। পরে বিষয়টি গড়ায় আপিল বিভাগ পর্যন্ত।
ইশরাক হোসেনের আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য কাজ করছে বলেই এখনও শপথ পড়ানো হয়নি। ২৯শে জুন শেষ হচ্ছে এই করপোরেশনের মেয়াদ। এরমধ্যে ইশরাকের ইস্যু সমাধান না হলে এলজিআরডি মন্ত্রণালয় আইন লঙ্ঘনের দায়ে অভিযুক্ত হবেন বলেও জানান তিনি।
আর অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদের মতে, সরকার ইচ্ছাকৃত ভাবে বিতর্কিত করছে বিষয়টিকে। এদিকে নির্বাচন কমিশন বলছে, ইশরাক হোসেনের মেয়র ইস্যুতে ,আদালতের কাগজ পেলে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। নির্বাচন কমিশনের পরবর্তী সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় এখন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন।
ডিবিসি/ আরএসএল