বাংলাদেশ, জেলার সংবাদ

রাজবাড়ীতে কবর থেকে লাশ তুলে পুড়িয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা

রাজবাড়ী প্রতিনিধি

ডিবিসি নিউজ

শুক্রবার ৫ই সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৬:২৪:১৫ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগল নামের এক ব্যক্তিকে মাটি থেকে কয়েক ফুট উঁচু বেদি তৈরি করে দাফন করা হয়েছে। এটি 'শরিয়ত পরিপন্থী' দাবি করে করে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে উত্তেজিত জনতা কবর থেকে নুরুল হকের লাশ উত্তোলন করে পদ্মার মোড় এলাকায় অগ্নিসংযোগ করেন।

আজ শুক্রবার (৫ই সেপ্টেম্বর) দুপুরের পর বিক্ষুব্ধ জনতা এ হামলা ও অগ্নিসংযোগ করেন বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। এ সময় পুলিশের দুইটি ডাবল কেবিন পিকআপসহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার গাড়ির ভাঙ্চুর করা হয়।


খরব পেয়ে রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার মো. কামরুল ইসলামসহ সেনবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়েন্ত্রণে আনেন। রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শরীফ আল রাজীব এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

 

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গোয়ালন্দ পৌরসভার ৫নম্বর ওয়ার্ডে নিজ বাড়িতে দরবার শরিফ গড়ে তোলেন নুরুল হক। আশির দশকের শেষ দিকে তিনি নিজেকে ইমাম মাহদি দাবি করলে জনরোষ তৈরি হয়। পরে ১৯৯৩ সালের ২৩ মার্চ মুচলেকা দিয়ে তিনি এলাকা ছাড়েন। কয়েকদিন পর তিনি আবার দরবারে ফিরে কার্যক্রম শুরু করেন। গত ২৩শে আগস্ট ভোরে বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় তাঁর মৃত্যু হয়। ওইদিন রাতে এলাকাবাসীর অংশগ্রহণে প্রথম জানাজা ও ভক্তদের অংশগ্রহণে দ্বিতীয় জানাজা শেষে রাতে সাড়ে ১০ টার দিকে মাটি থেকে কয়েক ফুট উচুতে বিশেষ কায়দায় দাফন করা হয়। যে বেদির ওপর দাফন করা হয় সেখানে পবিত্র কাবার আদলে রং করা হয়। এরপর বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ হন স্থানীয় আলেম সমাজ সহ ধর্মপ্রাণ মুসলমান।

 

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে ইমাম-আকিদা রক্ষা কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটি গোয়ালন্দ উপজেলা মডেল মসজিদসহ রাজবাড়ী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলন করে স্থানীয় প্রশাসনসহ জেলা প্রশাসনের কাছে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের বিষয়টির শান্তিপূর্ণ সমাধান চান। সংবাদ সম্মেলনে জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর অ্যাড. নুরুল ইসলাম বলেন, যেভাবে নুরুল হককে কবর দেওয়া হয়েছে এটা ইসলাম পরিপন্থী। দ্রত সময়ের মধ্যে  ধর্মীয় রীতি মেনে কবর দেওয়াও অনুরোধ করেন তিনি। ইমাম আকিদা রক্ষা কমিটি শুক্রবার জেলা ও উপজেলায় বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

 

ডিবিসি/পিআরএএন

আরও পড়ুন