রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আব্দুর রহমানের ছেলে তাওসিফ রহমানকে (১৬) হত্যা এবং তাঁর মা তাসমিন নাহার লুসীকে (৪৪) হত্যাচেষ্টায় পুলিশ হেফাজতে থাকা আসামি লিমন মিয়ার (৩৪) বক্তব্য গণমাধ্যমে আসায় চার পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
শনিবার (১৫ই নভেম্বর) বিকেলে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান তাদের সাময়িক বরখাস্ত করেন। তারা নগরীর রাজপাড়া থানায় কর্মরত ছিলেন। ইতোমধ্যে তাদের থানা থেকে প্রত্যাহার করে আরএমপির পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। সাময়িক বরখাস্ত ও প্রত্যাহার হওয়া চারজন হলেন- উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু শাহাদাত, কনস্টেবল আব্দুস সবুর, মাহফুজার রহমান ও মিঠু সরদার।
আরএমপির মুখপাত্র অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার গাজিউর রহমান জানান, দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে অবহেলার কারণে এই চারজনকে প্রত্যাহার ও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, বরখাস্তের এই সংখ্যাটা আরও বাড়বে। আরো কারা দায়িত্বে অবহেলা করেছে, সে বিষয়ে তদন্ত চলছে।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহী নগরীর ডাবতলা এলাকায় ভাড়া নেওয়া ফ্ল্যাটে খুন হয় নবম শ্রেণির ছাত্র বিচারক পুত্র তাওসিফ। হামলায় গুরুতর আহত হন বিচারকের স্ত্রী তাসমিন নাহার লুসী। হামলাকারী নিজেও আহত হন।
হাসপাতালে ভর্তি করার পর অভিযুক্ত লিমন মিয়াকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। ওই সময় লিমন গণমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে কথা বলেন। পরে এ ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।
পুলিশ হেফাজতে থাকা আসামির বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রচার হওয়ায় আদালত শনিবার আরএমপি কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ানকে শোকজ করেছেন। আগামী ১৯শে নভেম্বরের মধ্যে আদালতে সশরীরে হাজির হয়ে তাকে ব্যাখা দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া আসামি লিমন মিয়ার পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
ডিবিসি/আরএসএল