বাংলাদেশ, জাতীয়

রাজসাক্ষী হিসেবে শর্তসাপেক্ষে সাবেক আইজিপি মামুনকে ক্ষমা করা যেতে পারে: ট্রাইব্যুনাল

ডেস্ক নিউজ

ডিবিসি নিউজ

শনিবার ১২ই জুলাই ২০২৫ ০৫:৫৯:০৭ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ শনিবার (১২ই জুলাই) সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে জুলাই গণহত্যা মামলায় রাজসাক্ষী হিসেবে শর্তসাপেক্ষে ক্ষমা প্রদর্শনের লিখিত আদেশ প্রকাশ করেছে। বিচারপতিদের স্বাক্ষরের পর প্রকাশিত এই আদেশে বলা হয়েছে, নিজের এবং সহযোগীদের অপরাধের পূর্ণাঙ্গ ও সত্য বিবরণ ট্রাইব্যুনালে উন্মোচন করার শর্তে তাকে এই ক্ষমা প্রদান করা যেতে পার।

ট্রাইব্যুনালের আদেশের অনুলিপি অনুযায়ী, অভিযুক্ত চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে ক্ষমা করার সিদ্ধান্তটি সকল বিষয় বিবেচনার পর গৃহীত হয়েছে। তাকে এই শর্তে ক্ষমা করা হয়েছে যে, তিনি জুলাই গণহত্যার সঙ্গে সম্পর্কিত সমস্ত খুঁটিনাটি ও সত্য ঘটনা তুলে ধরবেন। এছাড়া, মামলায় যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, তাদের প্রত্যেকের বিষয়ে তার জানা সমস্ত তথ্য বিস্তারিতভাবে সরবরাহ করবেন। চৌধুরী মামুন এই শর্তগুলো মেনে নিয়েছেন এবং ট্রাইব্যুনাল যখনই তলব করবে, তখনই হাজির হয়ে সাক্ষ্য দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

 

আদেশে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, যেহেতু চৌধুরী মামুনকে ক্ষমা করা হয়েছে এবং তিনি তা গ্রহণ করেছেন, তাই তার নিরাপত্তার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ কারণে তাকে কারাগারের অন্যান্য বন্দিদের থেকে আলাদা রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট জেল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রারকে এই বিষয়টি সমন্বয় করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

 

এর আগে গত ১০ই জুলাই, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায় স্বীকার করেন সাবেক এই পুলিশ প্রধান। সেদিন তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে বলেন, জুলাই-আগস্টে আন্দোলন চলাকালে আমাদের বিরুদ্ধে হত্যা-গণহত্যা সংঘটনের যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সত্য। এ ঘটনায় আমি নিজেকে দোষী সাব্যস্ত করছি। আমি রাজসাক্ষী হয়ে জুলাই-আগস্ট আন্দোলন চলাকালে যে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে, তার বিস্তারিত আদালতে তুলে ধরতে চাই এবং রহস্য উন্মোচনে আদালতকে সহায়তা করতে চাই।

 

ডিবিসি/এএমটি

আরও পড়ুন