দখলদার ইসরায়েলের ভূখণ্ডে দুই দফায় দ্রুতগতির মিসাইল হামলা চালিয়েছে ইরান। এতে ইসরায়েলে অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন শতাধিক ইসরায়েলি। অন্যদিকে ইরানের বিভিন্ন সামরিক কাঠামো লক্ষ্য করে হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে ইরানের নানা অবকাঠামো।
শনিবার মধ্যরাত ও রবিবার (১৫ই জুন) ভোরে দখলদার ইসরায়েলে ভয়াবহ রকেটবৃষ্টি বর্ষণ করে ইরান। এই হামলায় শুধু উত্তর ইসরায়েলে প্রাণ হারিয়েছেন পাঁচজন। নিহতরা আরব ইসরায়েলি বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল। তারা খাতিব পরিবারের সদস্য। শহরটি ফিলিস্তিনি-ইসরায়েলি অধ্যুষিত। অপরদিকে ভোরের হামলায় ৬০ বছর বয়সী এক নারী প্রাণ হারিয়েছেন।
ইসরায়েলের জরুরি সেবা সংস্থা মেগান ডেভিড আদম জানিয়েছে, মধ্য ইসরায়েলের বাত ইয়ামে ওই নারী নিহত হয়েছেন। এছাড়া সেখানে আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৩০ জন। যাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা বেশ আশঙ্কাজনক। অপরদিকে রেহেবোতে দুইজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
ইরানি হামলায় বাণিজ্যিক রাজধানী তেলআবিব এবং রামাত গানেও বেশ কিছু অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত এবং হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। তবে সেখানকার হতাহতের সংখ্যা ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো জানা যায়নি। ইরানের এ হামলার আগে সব ইসরায়েলিকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয় দখলদার ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। তবে এখন তারা এ নির্দেশনা তুলে দিয়েছে।
সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, ইসরায়েলের ওই আরব শহরটিতে হতাহতের সংখ্যা বেশি কারণ সেখানে আশ্রয় নেওয়ার মতো খুব বেশি সুবিধা নেই। এই ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েলের নাগরিক হলেও তাদের বিভিন্ন সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে রাখে ইসরায়েল।
অন্যদিকে ইরানের আব্বাস বন্দরে রাতভর ব্যাপক হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। তবে ইরানের দাবি, তাদের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ইসরায়েলের ড্রোন হামলা আকাশেই ঠেকিয়ে দিচ্ছে। এছাড়াও, ১৩টি ইসারায়েলি ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি করেছে তেহরান।
সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল, আলজাজিরা, ইরনা নিউজ।