ক্লাব ফুটবলে আপাতত বিরতি। মাঠে ফিরছে ইন্টারন্যাশনাল ফুটবল। প্রথমেই বিগ ম্যাচ, মুখোমুখি ২০১৪ বিশ্বকাপের দুই ফাইনালিস্ট জার্মানি আর আর্জেন্টিনা। প্রীতি ম্যাচ, দুই দলেই তাই নতুনদের সমাহার। খেলাটা জার্মানিতে, শুরু হবে রাত পৌনে একটায়।
লড়াইটা যখন জার্মানি আর আর্জেন্টিনার তখন পেছনে না তাকিয়ে কি উপায় থাকে? ১৩ জুলাই, ২০১৪...মেসির আর্জেন্টিনার স্বপ্ন গুড়িয়ে অতিরিক্ত সময়ে মারিও গোয়েৎজার গোলে আরও একবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন বনে জার্মানি।
অতীত ভুলে বর্তমানে ফেরা যাক। রাশিয়া বিশ্বকাপের ভরাডুবির পর দুই দলই ব্যস্ত নতুন করে দল সাজাতে। আর্জেন্টিনা স্কোয়াডে বেশিরভাগই অপরিচিত মুখ। কোপা আমেরিকায় কনমেবলের সমালোচনা করে তিন মাসের জন্য নিষিদ্ধ লিওনেল মেসি। মুধু তাই না, সার্জিও আগুয়েরো, ডি মারিয়া, মাউরো ইকার্দি দলে নাই সুপারস্টারদের কেউই। পাওলো দিবালা-লাউতারো মার্তিনেজের মত তরুণদের ওপরই ভরসা রাখছেন কোচ লিওনেল স্কালোনি।
এ বিষয়ে আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনি বলেন, 'ছেলেদের জন্য এটা দারুণ সুযোগ। জার্মানির মত কঠিন প্রতিপক্ষের সাথে ওদের মাঠে খেলাটা অবশ্যই চ্যালেঞ্জ। জানি, জার্মানরা অ্যাটাকিং ফুটবল খেলতে পছন্দ করে। কিভাবে তাদের থামিয়ে আমরা ফলাফল বের করে আনতে পারি সেটাই আসল। চ্যালেঞ্জটা নিতে দল তৈরিই আছে।'
প্রীতি ম্যাচ, জোয়াকিম লো'র জার্মান স্কোয়াডে তাই একগাদা তরুণ খেলোয়াড়। সার্জি জিনাব্রি, নিকোলাস সুলে, সেবাস্টিয়ান রুডি, জশুয়া কিমিচদের মত তরুণরা সুযোগ পেয়েছেন দলে। তবে, এ ছাড়া উপায়ও নাই। জনাথন টাহ, গুন্ডোয়ান ছিটকে গেছেন, মার্কো রয়েস এখনও পুরো ফিট নন। সুধু তাই না, টনি ক্রুস, লেরয় সানে, টিমো ওয়ার্নার, লিওন গোরেৎজকা সহ নিয়মিত স্কোয়াডের প্রায় এক ডজন খেলোয়াড় তো দলেই নাই। এছাড়াও লো'র সামনে চ্যালেঞ্জ গোলকিপিং পজিশন অফ ফর্মের নয়্যারকে বসিয়ে টার স্টেগানকে কি সুযোগ দেবেন জার্মান কোচ?