সুন্দরবন ও টাঙ্গুয়ার হাওরের পর এবার বিশ্বব্যাপী জীববৈচিত্র্য রক্ষার সম্মিলিত প্রয়াস-রামসার তালিকাভুক্ত হতে চলেছে মৌলভীবাজারের হাকালুকি হাওর। এশিয়ার বৃহত্তম এই হাওরের রামসার সাইটে অন্তর্ভুক্তি, মৎস্য অভয়াশ্রম, পাখি, উদ্ভিদ ও জলাভূমি সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
১৯৭১ সালে বিশ্বব্যাপী জলীয় পরিবেশ রক্ষায় ইরানের রামসার শহরে একটি কনভেনশন হয়, যা রামসার কনভেনশন নামে পরিচিত। পরবর্তীতে এই চুক্তিতে বাংলাদেশসহ ১৫৮টি দেশ স্বাক্ষর করে। চুক্তি অনুসারে, জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ জলাভূমিগুলো জলচর পাখিদের জন্য সংরক্ষণ, এগুলোর পরিবেশগত, অর্থনৈতিক ও বিনোদনমূলক গুরুত্ব তুলে ধরে, স্থানগুলোকে রামসার এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
১৯৯২ সালে সুন্দরবন ও ২০০০ সালে টাঙ্গুয়ার হাওড় রামসার স্থান হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। এবার সে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে যাচ্ছে ২৪০টি বিলের সমন্বয়ে গঠিত হাওর হাকালুকি। তবে ভরাট ,দখল, অপরিকল্পিত বাঁধ আর মাছ ও পাখি শিকারে দিন দিন ধ্বংস হচ্ছে হাওড়ের পরিবেশ।
হাওড়টি রামসার সাইটে অন্তর্ভূক্ত হলে সংকটাপন্ন ও বিলুপ্ত প্রজাতির দেশীয় মাছ সংরক্ষণ ও রক্ষা সহজ হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এরই মধ্যে প্রাথমিক জরিপ কাজসহ, প্রস্তুতিমুলক নানা কাজ চলছে বলে জানালেন মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিন।
হাকালুকিতে ১শ ৫০ প্রজাতির মিঠা পানির মাছ, ৫২৬ প্রজাতির জলজ উদ্ভিদ, ২০ প্রজাতির সরীসৃপের বসবাস। শীতকালে প্রায় ২০০ প্রজাতির পাখির সমাগম ঘটে এখানে।