আন্তর্জাতিক, ইউরোপ

রাশিয়ার ভয়াবহ হামলায় ১৩৫৫ ইউক্রেনীয় সেনা নিহত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ডিবিসি নিউজ

৮ ঘন্টা আগে
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর ব্যাপক হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ১,৩৫৫ জন ইউক্রেনীয় সেনা নিহত হয়েছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই দাবি করেছে। একইসঙ্গে রুশ বাহিনী ইউক্রেনের সামরিক-শিল্প এবং জ্বালানি স্থাপনাগুলোতে ‘কিনঝাল’ হাইপারসনিক মিসাইল ও ড্রোন ব্যবহার করে রাতভর ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে।

রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সামরিক অভিযানের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ফ্রন্টলাইনের বিভিন্ন এলাকায় তুমুল লড়াইয়ে ইউক্রেনীয় বাহিনী বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছে। গত এক দিনে সব মিলিয়ে ১,৩৫৫ জন সেনাকে হারিয়েছে কিয়েভ। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটেছে ‘ব্যাটলগ্রুপ সেন্টার’-এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকায়, যেখানে ৪৮০ জনেরও বেশি ইউক্রেনীয় সেনা নিহত হয়েছে। এছাড়া ব্যাটলগ্রুপ ওয়েস্টের এলাকায় ২২০ জন, ব্যাটলগ্রুপ ইস্টে ২৩০ জন, ব্যাটলগ্রুপ নর্থে ২০০ জন এবং ব্যাটলগ্রুপ সাউথের এলাকায় ১৯০ জন সেনা নিহত হয়েছে।

 

রাশিয়ার ভূখণ্ডে ইউক্রেনের হামলার জবাবে রুশ বাহিনী রাতভর এই ‘প্রতিশোধমূলক’ অভিযান চালায়। আকাশ ও সাগরভিত্তিক প্রিসিশন উইপন, কিনঝাল হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক মিসাইল এবং দূরপাল্লার ড্রোন ব্যবহার করে ইউক্রেনের সামরিক কারখানা ও জ্বালানি কেন্দ্রগুলো লক্ষ্যবস্তু করা হয়। মন্ত্রণালয়ের দাবি, নির্ধারিত সব লক্ষ্যবস্তুতে সফলভাবে আঘাত হানা হয়েছে।

 

দোনেৎস্কের দিমিত্রভ এলাকায় অবরুদ্ধ ইউক্রেনীয় সেনাদের নির্মূল অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পালানোর সময় ১১ জন সেনাকে হত্যা ও একজনকে বন্দী করার দাবি করেছে রাশিয়া। অন্যদিকে, ক্রাসনোয়ার্মিস্কের দিকে অগ্রসর হওয়ার সময় ইউক্রেনীয় বাহিনীর একটি বড় আক্রমণ প্রতিহত করা হয়েছে।

 

মোটরসাইকেল ও ট্যাংকের সহায়তায় চালানো ওই হামলায় ৬০ জনের বেশি ইউক্রেনীয় সেনা নিহত এবং ২০টি মোটরসাইকেল ও ৩টি ট্যাংক ধ্বংস হয়েছে।

 

রাশিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গত ২৪ ঘণ্টায় ইউক্রেনের ১৬৯টি ড্রোন এবং ২টি মার্কিন হিমার্স রকেট ধ্বংস করেছে। এছাড়া ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর ব্যবহৃত বন্দর অবকাঠামো, গোলাবারুদের ডিপো এবং বিদেশি ভাড়াতে সেনাদের অবস্থানসহ ১৪২টি স্থানে বিমান ও আর্টিলারি হামলা চালানো হয়েছে।

 

সূত্র: তাস

 

ডিবিসি/এনএসএফ

আরও পড়ুন