রাশিয়ার ভয়াবহ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম 'এক্স'-এ দেওয়া এক পোস্টে ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ডেনিস শ্মিহাল এই কঠোর বার্তা দেন। তিনি বলেন, "আগ্রাসীর ওপর আমাদের চাপ বাড়াতেই হবে। যারা এই যুদ্ধকে আর্থিকভাবে সহায়তা করছে, তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে, যাতে রাশিয়া শান্তি স্থাপনে বাধ্য হয়।"
শ্মিহালের এই বক্তব্যের মূল সুর ছিল—এই যুদ্ধ শুধু ইউক্রেনের একার নয়। তিনি বলেন, রাশিয়ার এই তীব্র হামলা প্রমাণ করে যে মস্কো থামতে রাজি নয়। যদি ইউক্রেন পরাজিত হয়, তবে রাশিয়ার পরবর্তী লক্ষ্য হবে ইউরোপের অন্যান্য দেশ। তাই ইউক্রেনকে সমর্থন করা মানে পুরো ইউরোপের নিরাপত্তাকে নিশ্চিত করা। তিনি বিশ্বনেতাদের কাছে আবেদন জানান, তারা যেন এই বিপদটিকে হালকাভাবে না নেন এবং দ্রুত ইউক্রেনের পাশে এসে দাঁড়ান। তার এই বার্তা মূলত পশ্চিমা দেশগুলোর জন্য একটি স্পষ্ট সতর্কবাণী, যারা ইউক্রেনকে সাহায্য করার বিষয়ে মাঝে মাঝে দ্বিধায় ভোগে।
প্রধানমন্ত্রী শ্মিহাল তার বার্তায় শুধু সতর্ক করেই থামেননি, বরং এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি থেকে বাঁচার জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে সাহায্যও চেয়েছেন। তিনি উল্লেখ করেন, জুন মাস থেকে রাশিয়া তাদের হামলার তীব্রতা বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে এবং যুদ্ধের সবচেয়ে বড় হামলাগুলোর সবই এই সময়ের মধ্যে চালানো হয়েছে। গত রাতের হামলাটি ছিল ২০২২ সালে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর দ্বিতীয় বৃহত্তম।
এই তীব্র আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য ইউক্রেনের আরও অস্ত্র এবং সম্পদ প্রয়োজন বলে তিনি জানান। শ্মিহাল বলেন, "আগ্রাসীকে কার্যকরভাবে প্রতিহত করার জন্য আমাদের অংশীদারদের কাছ থেকে আরও অস্ত্র ও সম্পদ প্রয়োজন।" তার এই বক্তব্য ইউক্রেনের বর্তমান desperate বা মরিয়া অবস্থাকেই তুলে ধরে। একদিকে যেমন তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং গোলাবারুদের ভান্ডার ফুরিয়ে আসছে, তেমনই রাশিয়া নতুন উদ্যমে তাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ছে। এই পরিস্থিতিতে, পশ্চিমা মিত্রদের কাছ থেকে দ্রুত ও পর্যাপ্ত সাহায্য না পেলে ইউক্রেনের পক্ষে এই লড়াই চালিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে। তথ্যসূত্র: নিউজ স্কাই
ডিবিসি/জেআরওয়াই