জাতীয়

রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পেল কয়েকজন বাংলাদেশি মেয়ে!

ময়ূখ

ডিবিসি নিউজ

সোমবার ১২ই অক্টোবর ২০২০ ০১:৩৫:১৩ পূর্বাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত এবং হাই কমিশনার হিসাবে দায়িত্ব পালন করার সুযোগ পেলেন বেশ ক'জন মেয়েশিশু।

স্বাধীনভাবে তাদের নিজ ভবিষ্যত গড়ার অধিকার করার প্রয়োগ করতে; সামাজিক পরিবর্তনকে ত্বরান্বিতকারী এক প্রজন্মের নেতৃত্ব দিতে; এবং সম্ভাবনাময় জীবন যথাযথভাবে যাপনের অধিকারী হতে এই কৈশোর বয়সী মেয়ে রাষ্ট্রদূতরা চেইঞ্জ মেকার হিসাবে তাদের দৃঢ়়তা দেখিয়েছেন এবং লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা ও ক্ষতিকারক আচরণ থেকে মুক্ত থাকার দাবি জানিয়েছেন।

আজ ১১ই অক্টোবর, আন্তর্জাতিক মেয়েশিশু দিবস উপলক্ষ্যে সারা বাংলাদেশ থেকে বেশ কয়েকজন মেয়ে অস্ট্রেলিয়ান হাই কমিশন, কানাডার হাইকমিশন, ফ্রান্সের দূতাবাস, জার্মানি দূতাবাস, নেদারল্যান্ডসের দূতাবাস, নরওয়ের দূতাবাস, সুইজারল্যান্ডের দূতাবাস, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস এবং ইউনিসেফ বাংলাদেশ কর্তৃক যৌথভাবে আয়োজিত একটি ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে এক দিনের জন্য রাষ্ট্রদূত এবং হাই কমিশনার হিসাবে দায়িত্ব পালন করার এই সুযোগ পায় বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। 

এই দিবসটি মেয়েদের দাবী ও তাদের ক্ষমতার উদযাপন, বিশ্বব্যাপী তাদের অধিকার রক্ষা এবং শুধুমাত্র মেয়ে হবার কারণে তারা যেসব চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয় তা ভেবে দেখার জন্য উৎসর্গীকৃত একটি দিন। 

এই বছরের আন্তর্জাতিক মেয়েশিশু দিবসের বিষয়বস্তু, সম ভবিষ্যতের দাবী, আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে মেয়েরা যখন শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের সুযোগ পায় তখন সবারই উপকার হয়। মেয়েরা শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করুক!

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনেক মেয়েরই শিক্ষার সুযোগ সীমিত বা একেবারেই নেই যা তাদের সমাজে সম্পূর্ণরূপে অংশগ্রহণের সম্ভাবনাকে খর্ব করে। তারা অনলাইনে, ক্লাসরুমে, এমনকি নিজ বাড়িতে ও সমাজেও সহিংসতার মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে। বিশ্বব্যাপী ১৫-১৯ বছর বয়সী প্রতি ২০ জন মেয়ের মধ্যে একজন – প্রায় ১৩ মিলিয়ন - তাদের জীবনকালে ধর্ষণের শিকার হয়েছে। করোনা মহামারী মেয়েদের এসব চ্যালেঞ্জকে অনেকগুণে বৃদ্ধি করেছে, যা লিঙ্গ বৈষম্যকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, শিক্ষা, পুষ্টি এবং শিশু ও মাতৃমৃত্যুতে অভূতপূর্ব উন্নতি সত্ত্বেও বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও এই নেতিবাচক প্রবণতাটির অভিজ্ঞতালাভ করেছে। আন্তর্জাতিক মেয়েশিশু দিবস এই অসমতাগুলিকে দূর করতে পুনরায় অঙ্গীকারবদ্ধ হবার একটি সুযোগ। কারণ বিশ্বের অর্ধেক জনসংখ্যাকে পেছনে ফেলে রেখে আমরা সাফল্য অর্জন করতে পারি না। লিঙ্গ সমতার প্রতি বাংলাদেশ সরকারের প্রতিশ্রুতি সত্যিই প্রশংসনীয়। লিঙ্গীয় সাম্যতা এবং মেয়েদের অধিকারকে এগিয়ে নিতে তৃণমূল পর্যায়ে দুর্দান্ত কাজের জন্য আমরা নাগরিক সমাজ, বেসরকারী সংস্থা এবং কমিউনিটিগুলির প্রশংসা করি।

বাংলাদেশ এবং বিশ্বজুড়ে, মেয়েরা তাদের নিজ সমাজে একটি প্রভাব ফেলছে এবং এর বাইরেও ইতিবাচক পরিবর্তন আনছে। তারা শিক্ষার্থী, উদ্যোক্তা, স্বেচ্ছাসেবক ও কর্মী হিসাবে পথ দেখিয়ে চলেছে এবং প্রমাণ করছে যে ভবিষ্যত গঠন এবং অন্যের জীবনের উন্নতি সাধন করতে আপনার বয়স কখনই গুরুত্বপূর্ণ নয়।



 

আরও পড়ুন