বাংলাদেশ, অপরাধ, রাজধানী

রিয়াদের বিরুদ্ধে ৫ কোটি টাকার চেক ও জমির দলিল নেয়ার অভিযোগ

ডেস্ক নিউজ

ডিবিসি নিউজ

বৃহঃস্পতিবার ৩১শে জুলাই ২০২৫ ০৭:৫২:৫০ পূর্বাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক নেতা আবদুর রাজ্জাক বিন সোলাইমান রিয়াদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির চাঞ্চল্যকর সব তথ্য বেরিয়ে আসছে। আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) আব্দুল কালাম আজাদের কাছ থেকে হুমকি দিয়ে পাঁচ কোটি টাকার চেক ও একটি জমির দলিল নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।

গত ২৬শে জুন, রিয়াদ ও তার সহযোগীরা রংপুর-৬ আসনের সাবেক এমপি আব্দুল কালাম আজাদের গ্রিন রোডের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে গিয়েছিলেন। সেখানে তারা গণপিটুনির ভয় দেখিয়ে এবং জুতার মালা পরানোর হুমকি দিয়ে তাকে জিম্মি করে ফেলেন। এ সময় তারা আজাদের কাছ থেকে পাঁচ কোটি টাকার একটি চেক এবং একটি জমির দলিল জোরপূর্বক লিখিয়ে নেন।

 

এদিকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) রিয়াদের ঢাকার নাখালপাড়ার ভাড়া বাসা থেকে দুই কোটি ২৫ লাখ টাকার চারটি চেক উদ্ধার করেছে। বুধবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে উপকমিশনার (গণমাধ্যম ও জনসংযোগ) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এই তথ্য জানান। পুলিশ জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া চেকগুলো সাবেক এমপি আজাদের কাছ থেকে নেওয়া চেকেরই অংশ। বাকি আড়াই কোটি টাকার চেক রিয়াদের অন্য সহযোগীদের কাছে রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে এবং তাদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এই ঘটনায় রিয়াদ ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে কলাবাগান থানায় একটি নতুন মামলার প্রস্তুতি চলছে।

 

তদন্তকারী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চেকগুলো আগস্ট মাসে ব্যাংকে জমা দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। এছাড়া 'নিট জোন প্রাইভেট লিমিটেড' নামক প্রতিষ্ঠান থেকে চেক ইস্যু করা হয়েছিল । চেকগুলোতে টাকার অঙ্ক ও স্বাক্ষর থাকলেও কোনো প্রাপকের নাম উল্লেখ ছিল না।


এর আগে, গত ২৬শে জুলাই গুলশানে আওয়ামী লীগের আরেক সাবেক এমপি শাম্মী আহমেদের বাসায় ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে রিয়াদসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়। সেই মামলায় রিয়াদ এবং তার তিন সহযোগী ইব্রাহীম হোসেন মুন্না, সাকাদাউন সিয়াম ও সাদাব বর্তমানে সাত দিনের পুলিশ রিমান্ডে রয়েছেন।

 

ডিএমপির উপকমিশনার তালেবুর রহমান বলেন, 'গুলশানের মামলায় গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতেই নাখালপাড়ায় অভিযান চালিয়ে চেকগুলো উদ্ধার করা হয়। ভুক্তভোগীরা আগে পুলিশকে জানালে এই অপরাধ প্রতিরোধ করা সম্ভব হতো। পুলিশ আরও খতিয়ে দেখছে, কোনো দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে এই চাঁদাবাজি করা হয়েছে কিনা। তিনি জোর দিয়ে বলেন, 'অপরাধীর কোনো দলীয় পরিচয় নেই, তদন্ত চলছে এবং এর সাথে জড়িত কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।'

 

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২৬ জুন রিয়াদের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১২ জনের একটি দল আজাদের অফিসে প্রবেশ করে। তারা হুমকি দেয় যে, টাকা না দিলে বাইরে অপেক্ষমাণ ২০০ জন লোক অফিসে ঢুকে ভাঙচুর ও মারধর করবে। এ সময় তারা আজাদের ফোন কেড়ে নিয়ে তাকে 'আওয়ামী লীগের দোসর' বলে গালিগালাজ করে।

 

গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, রিয়াদ ও তার সহযোগীরা আরও কোথায় চাঁদাবাজি করেছে কিনা, সে বিষয়ে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
 

ডিবিসি/এনএসএফ

আরও পড়ুন