বাংলাদেশ, জেলার সংবাদ

লক্ষ্মীপুরে আস-সালাম মসজিদ দেখতে ভিড় করেন পর্যটকরা

Tanjia Khanam Borshon

ডিবিসি নিউজ

মঙ্গলবার ১৫ই ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৩:২৮:০৪ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

দিনে প্রাকৃতিক আলোয় আলোকিত থাকে লক্ষ্মীপুরের রামগতির আস-সালাম জামে মসজিদ।মালয়েশিয়ান নকশায় আধুনিক নির্মাণ শৈলীর দৃষ্টিনন্দন এই মসজিদে মুসল্লিরা বর্ষায় উপভোগ করেন বৃষ্টির দৃশ্য আর শীতে কুয়াশার হিম।

লক্ষ্মীপুরের রামগতির চরপোড়াগাছা ইউনিয়নের শেখের কিল্লায় মসজিদটি নির্মাণ করেছে স্থানীয় রহিমা মমতাজ ও সাইফ সালাহউদ্দিন ট্রাস্ট। দোতলা এই মসজিদে কোনো জানালা নেই। নকশাটাই এমন যে চারপাশের আলো-বাতাসে ভরপুর থাকে ভেতরটা।

মসজিদটিতে রয়েছে শুধু দুটি দরজা। এর ভেতরে বসেই রোদ-বৃষ্টি-কুয়াশা উপভোগ করতে পারেন মুসল্লিরা। আর গরমে মসজিদকে শীতল রাখার জন্য এর ভেতরে ৫টি জলাধারে সংরক্ষণ করা হয় পানি।

মসজিদটির নিচতলার সামনের দিকে মেহরাব ও মসজিদের মূল অংশ। এর পেছনে মাঝ বরাবর গলিপথের দুই পাশে শীতল জলাধার আর রোদ-বৃষ্টির প্রবেশ পথ। পেছনের অংশে বড় গ্যালারির মসজিদ। দোতলায় রয়েছে নারীদের নামাজ পড়ার জায়গা।

নকশার কারণে মনে হয় মসজিদটির ছাদ শূন্য থেকে ঝুলছে। মসজিদটিতে এক সঙ্গে ৪০০ জন মুসল্লি জামাতে নামাজ আদায় করতে পারবেন। অপরূপ এই স্থাপনা দেখতে প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে আসেন পর্যটকরা।

মসজিদটি দেখতে আসা পর্যটকরা জানান, শত শত দর্শনার্থীরা মসজিদটি দেখার জন্য আসে। খুব সুন্দর একটি মসজিদ এটি। 

অপর এক দর্শনার্থী বলেন, 'শুনেছি মসজিদটি মালেশিয়া থেকে ডিজাইন করা। তাই দেখার খুব আগ্রহ ছিল। মনে হয় বাংলাদেশে এত সুন্দর মসজিদ আর কেউ নির্মাণ করতে পারেনি।'

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চার হাজার বর্গফুটের দোতলা এই মসজিদের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। শেষ হয় ২০২১ সালে।

এই মসজিদকে ঘিরে আস-সালাম হাফেজিয়া মাদরাসা, মহিলা মাদ্রাসা ও বালিকা বিদ্যালয় গড়ে তোলা হয়েছে। শিক্ষা কমপ্লেক্সের আওতায় একটি কলেজ ও দাতব্য হাসপাতাল তৈরির প্রক্রিয়া চলছে। মাদ্রাসায় কোরআন হিফজ করানোর পাশাপাশি ইংরেজির সমন্বয়ে আধুনিক শিক্ষা দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন