লন্ডনের সাউথএন্ড বিমানবন্দরে একটি ছোট বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এই ঘটনায় বিমানবন্দর থেকে সকল ফ্লাইট পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাতিল করা হয়েছে।
রবিবার (১৩ই জুলাই) স্থানীয় সময় বিকাল ৪টার ঠিক আগে এই দুর্ঘটনা ঘটে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক বিবৃতিতে এটিকে একটি "গুরুতর ঘটনা" বলে উল্লেখ করেছে। তারা জানিয়েছে, একটি সাধারণ বিমান চলাচলের (general aviation) এয়ারক্রাফট এই দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে।
দুর্ঘটনার পর পরই পুলিশ, জরুরি পরিষেবা এবং বিমান দুর্ঘটনা তদন্তকারীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে।
ব্রিটিশ গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বিধ্বস্ত বিমানটি একটি বিচক্র্যাফ্ট বি২০০ সুপার কিং এয়ার (Beechcraft B200 Super King Air) মডেলের মেডিকেল ট্রান্সপোর্ট জেট। এটি রোগীদের পরিবহনের জন্য বিশেষ চিকিৎসা সরঞ্জাম দিয়ে সজ্জিত ছিল এবং নেদারল্যান্ডসের দিকে যাচ্ছিল। তবে বিমানটিতে ঠিক কতজন আরোহী ছিলেন তা তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত করা যায়নি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা গেছে, দুর্ঘটনার স্থান থেকে আগুন এবং কালো ধোঁয়ার কুন্ডলী উঠছে। বিমানটি প্রায় ১২ মিটার (৩৯ ফুট) দীর্ঘ ছিল বলে জানা গেছে।
জন জনসন নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী, যিনি দুর্ঘটনার সময় সপরিবারে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন, তিনি জানান যে বিমানটি "মাটিতে মুখ থুবড়ে পড়ার" পর তিনি একটি "বড় আগুনের গোলা" দেখেছেন।
তিনি বলেন, "বিমানটি উড্ডয়নের তিন বা চার সেকেন্ড পরেই বাম দিকে মারাত্মকভাবে বেঁকে যেতে শুরু করে এবং এর কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই এটি প্রায় উল্টে গিয়ে সোজা মাটিতে আছড়ে পড়ে। এরপরই একটি বড় আগুনের গোলা দেখা যায়।"
জনসন আরও জানান, উড্ডয়নের জন্য প্রস্তুত হওয়ার আগে তিনি ও তার পরিবার পাইলটদের দিকে হাত নেড়েছিলেন এবং পাইলটরাও উত্তরে হাত নাড়েন। দুর্ঘটনার পরপরই বিমানবন্দরের নিজস্ব ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইঞ্জিন এবং পরবর্তীতে স্থানীয় পুলিশ, অ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসে।
এসেক্স পুলিশ জানিয়েছে, তারা লন্ডনের কেন্দ্র থেকে প্রায় ৪৫ মাইল (৭২ কিলোমিটার) পূর্বে অবস্থিত এই অপেক্ষাকৃত ছোট বিমানবন্দরের "গুরুতর ঘটনা" সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এসেক্স পুলিশ এক বিবৃতিতে বলেছে, "আমরা বর্তমানে ঘটনাস্থলে সমস্ত জরুরি পরিষেবা সংস্থার সাথে কাজ করছি এবং এই কাজ আগামী কয়েক ঘন্টা ধরে চলবে।"
তথ্যসূত্র সিএনএন।
ডিবিসি/এমইউএ