বিজ্ঞান বলছে, লিপ কিস (চুম্বন) করলে শুধু ভালোবাসা বাড়ে না, সেই সঙ্গে আমাদের দেহের ভিতরে এমন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে যে তার প্রভাবে একাধিক শারীরিক উপকারও পাওয়া যায়। তাই সম্পর্ক মধুর হওয়া ছাড়াও বেশ কয়েকটি কারণে চুম্বন অত্যন্ত জরুরি।
সম্পর্ক সুন্দর ও মজবুত করতে চুম্বনের ভূমিকা যে অসীম তা বলাই বাহুল্য। কিন্তু শরীরের যত্ন নিতে দারুণ উপকারী চুম্বন। নিয়ম করে শরীরচর্চার পাশাপাশি রোজ চুমু খেলেও স্বাস্থ্য থাকবে ঝরঝরে। মনে থাকবে আনন্দ। জীবনে আসবে উদ্যম।
ঠোঁটে চুম্বন করলে শরীরের উপকার হয়। শুধু কি তাই, একাধিক জটিল রোগের প্রকোপও কমে এমন ঠোঁটের স্পর্শে। কীভাবে স্বাস্থ্যের যত্ন নেয় চুম্বন? জানা যাক-
মানসিক উদ্বেগ কমায়- চুম্বনের মুহূর্তে মস্তিষ্কের কর্টিসলের মাত্রা কমে যায়। যা ‘স্ট্রেস হরমোন’ নামে পরিচিত। পরিবর্তে শরীরে ক্ষরিত হয় ‘অক্সিটোসিন’, ‘সেরাটোনিন’‘ডোপামিন’ হরমোন। এই হরমোনগুলি মন, শরীর এবং মস্তিষ্ক ভাল রাখতে সাহায্য করে। তাই চুমু খাওয়ার সময় প্রগা়ঢ় শান্তিতে চোখ বন্ধ হয়ে আসে।
দাঁতের যত্ন- চুমু খাওয়ার সময় মুখের ভিতরে লালা গ্রন্থির ক্ষরণ বৃদ্ধি পায়। এর ফলে দাঁতের আস্তরণ সৃষ্টিকারী পদার্থগুলি জমতে পারে না। বিভিন্ন কারণে দাঁতে যে গর্ত তৈরি হয় চুমু খাওয়ার ফলে সেই গর্ত তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা হ্রাস পায়।
মুখের বাড়তি মেদ ঝরাতে- চুম্বনের সময় মুখের পেশিগুলি বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে। চুমু খাওয়ার ফলে এক ধরনের ব্যায়ামও হয়ে যায়। চুমু খেলে প্রতি মিনিটে প্রায় অনেকটা পরিমাণে ক্যালোরি খরচ হয়। কাজেই বাড়তি মেদ ঝরিয়ে ত্বক টানটান রাখতে জিমে যাওয়ার বিকল্প হচ্ছে চুমু।
রক্তচাপ কমায়- চুম্বনের সময় হৃদ্স্পন্দন বৃদ্ধি পায়। শিরা, ধমনীগুলি প্রসারিত হয়। শরীরে রক্ত স্বাভাবিক ও স্বচ্ছন্দগতিতে প্রবাহিত পারে। এর ফলে রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না- চুমু খেলে ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। রক্ত সঞ্চালন সচল থাকার ফলে ত্বকে কোলাজেন উৎপাদন বাড়ে। কোলাজেন ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে। ত্বক মসৃণ রাখে। ত্বকের সতেজতা বজায় রাখে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটে- ২০১৪ সালে হওয়া একটা স্টাডিতে দেখা গেছে লিপ কিস করার সময় এক শরীর থেকে আরেক শরীরে উপকারী জীবাণুদের প্রবেশ ঘটে। আর এইসব জীবাণুরা শরীরে প্রবেশ করার পর এমন ক্রিয়া করে যে ইমিউনিটি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটতে সময় লাগে না। ফলে ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষার সাহস পায় না।
তাই, দূষণ, নানাবিধ রোগের আক্রমণ, এবং নানা ঝামেলার মাঝেও যদি শরীরকে চাঙ্গা রাখতে হয়, তাহলে নিয়মিত ভালোবাসার মানুষটিকে কয়েক বার লিপ কিস করা জরুরী!
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন