১৮৭০ সালের ২২ এপ্রিল জন্মগ্রহন করেন রুশ বিপ্লবের পুরোধা ভ্লাদিমির লেনিন। দেড়শ বছর পরেও তাকে মনে রেখেছে বিশ্ব। তার রাজনৈতিক চেতনায় উদ্বুদ্ধু হয়ে পৃথিবীর অসংখ্য মানুষ স্বপ্ন দেখে শোষণহীন সমাজের।
ভ্লাদিমির লেনিন ছিলেন রাশিয়ান কমিউনিস্ট পাটির্র প্রতিষ্ঠাতা, বলশেভিক বিপ্লবের নেতা এবং সোভিয়েত প্রজাতন্ত্র রাষ্ট্রের প্রথম প্রধান। আদর্শগতভাবে তিনি সমাজতান্ত্রিক মার্কসবাদে বিশ্বাসী ছিলেন। লেনিনের বৈচিত্র্যপূর্ণ ধারণাগুলো "লেনিনবাদ" নামে পরিচিত।
১৮৮৯ সালে, লেনিন নিজেকে মার্কসবাদী হিসেবে ঘোষণা করেন। এরপর মার্কসবাদী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অপরাধে তাকে গ্রেপ্তার করে নির্বাসনেও পাঠানো হয়। ১৯১৪ সালের আগস্টে, মিত্রশক্তি জোটের সমর্থনে রাশিয়া প্রথম বিশ্বযুদ্ধে যোগদান করে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে রাশিয়ার পরাজয়ে, লেনিন তার রাজনৈতিক বিপ্লবকে ত্বরান্বিত করেন। এ সময় তিনি তার দ্য হাইয়েস্ট স্টেজ অফ ক্যাপিটালিজমে যুক্তি দিয়েছিলেন, যুদ্ধ হচ্ছে আন্তর্জাতিক পুঁজিবাদের স্বাভাবিক ফলাফল।
১৯১৭ সালের রুশ বিপ্লবের সময় তার পরিচিতি চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এই বিপ্লবে অত্যাচারী স্বৈরশাসক রোমানভ রাজবংশের সমাপ্তি এবং রাশিয়ায় শতাব্দীর সাম্রাজ্যবাদী শাসনের অবসান ঘটে। তার শাসনের অধীনে রাশিয়ায় বৃহত্তর সোভিয়েত ইউনিয়ন কমিউনিস্ট পার্টি দ্বারা পরিচালিত একদলীয় সাম্যবাদী রাষ্ট্র গড়ে ওঠে।
লেনিন ১৯২৪ সালের ২১ জানুয়ারি, মস্কোর কাছে গোর্কি লেনিনস্কিয়েতে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল ৫৩ বছর। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় লেনিনের সমাধি সুরক্ষার জন্য মস্কোর রেড স্কয়ার থেকে রাশিয়ার দূরবর্তী শহর টিউমেনে স্থানান্তর করা হয়।