গত এক বছরে ১১ ওয়ানডেতে মাত্র ৩ জয় বাংলাদেশের। ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের অবনমনে, শঙ্কায় বাংলাদেশের ২০২৭ বিশ্বকাপ ভবিষ্যত। গত ১২ মাসে ১১ ওয়ানডেতে মাত্র ৩ জয় বাংলাদেশের। আগামী দুই বছরের ব্যস্ত সূচিতে শান্তরা নিজেদের পারফরম্যান্সের উন্নতি না করতে পারলে খেলতে হতে পারে বাছাই পর্ব। তবে, ২০২৭ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে রেঙ্কিংয়ের সেরা আটে উঠতে পারলে, সরাসরি বিশ্বকাপ খেলবে টাইগাররা।
বাংলাদেশের ক্রিকেট যেন অথৈ সমুদ্রে পড়েছে। নিজেদের প্রিয় ফরম্যাটে পারফম্যান্সের অবনমন শেষ কবে এভাবে চিন্তায় ফেলেছিল বাংলাদেশকে, সেটা নিয়ে এখন চলছে বিচার বিশ্লেষণ। কাগজ কলমের হিসাবে ২০০৬ সালে আইসিসির ওয়ানডের র্যাঙ্কিংয়ে দশে নেমেছিল টাইগাররা। ১৯ বছর পর আবার এ জায়গায় ফিরে আসায় এখন নতুন চিন্তার ভাজ ক্রিকেট বোর্ডের কপালে, ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ সরাসরি কোয়ালিফাই করতে পারা এখন শঙ্কায়।
গত দুই বছরে ৩৭ ওয়ানডে খেলে মাত্র ১১ জয়ের বিপরীতে ২৪টা হার টাইগারদের। সবশেষ ১২ মাসের হিসাবে নিজেদের প্রিয় ফরম্যাটে বাংলাদেশ খেলেছে ৯টা ওয়ানডে ম্যাচ। যেখানে জয় মাত্র ১টাতে। শান্তদের ব্যর্থতার এমন ধারাবাহিক স্ট্যাটিসস্টিকই শঙ্কায় ফেলছে বিশ্বকাপে সরাসরি কোয়ালিফাই করা নিয়ে।
দুই বছর পর ওয়ানডে ফরম্যাটের ১৪তম বিশ্বকাপের আসর বসবে সাউথ আফ্রিকা-জিম্বাবুয়ে ও নামিবিয়ায়। ১৪ দলের সেই আসরে স্বাগতিক হিসেবে সরাসরি সুযোগ পাবে সাউথ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ে। কিন্তু স্বাগতিক হলেও আইসিসির পূর্ণ সদস্য না হওয়ায় নামিবিয়াকে খেলতে হবে বাছাই পর্বে।
এছাড়া র্যাঙ্কিংয়ের সেরা ৮ দল বাছাই পর্ব ছাড়াই সরাসরি পাবে বিশ্বকাপের টিকিট। আর বাকি ৪ দল বিশ্বকাপে জায়গা পাবে বাছাই পর্ব পেরিয়ে। বর্তমান র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের পরেই আছে জিম্বাবুয়ে। একাদশতম স্থান থেকে ২০২৭ এর মার্চের হালনাগাদের মাঝে আয়োজকরা ১০এর মাঝে চলে এলেই ঘটবে বিপত্তি।
বাংলাদেশের বোর্ডের কপালে চিন্তার ভাজ পড়ছে আগামী দুই বছরের গেম ম্যানেজমেন্ট নিয়েও। এফটিপি অনুযায়ী আগামী ২৩ মাসে ১৬টি দ্বিপক্ষীয় সিরিজে বাংলাদেশের টেস্ট খেলার কথা মোট ১৮টি, ওয়ানডে ২৯টি ও টি-টোয়েন্টি ৩২টি। ব্যস্ত এই সূচিতে বিসিবিকে ভাবতে হচ্ছে প্লেয়ারদের ইনজুরি ম্যানেজমেন্ট নিয়েও। জাতীয় দলে পাইপলাইনের ধারা ঠিক রাখতে এ দল ও হাই পারফরম্যান্স দলে মনোযোগ বাড়িয়েছে তারা।
ডিবিসি/নাসিফ