দেশে আবারও বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। আতঙ্ক ছড়াচ্ছে মানুষের মধ্যে। বগুড়া, চাঁদপুর ও নোয়াখালীতে উপসর্গ নিয়ে প্রতিদিনই রোগী আসছে হাসপাতালে। কিন্তু জেলা তিনটিতে জনবল ও কিট সংকটে একেবারেই বন্ধ রয়েছে করোনা পরীক্ষা। রোগ শনাক্তের উপায় না থাকায় আইসোলেশনের ব্যবস্থা করা যাচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে সংক্রামক ব্যাধিটি ভয়াবহভাবে ছড়িয়ে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন চিকিৎসক ও সাধারণ মানুষ।
২০২০ সালের এপ্রিল থেকে ২০২১ সালের আগস্ট পর্যন্ত বগুড়ায় ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়। হট স্পটে পরিণত জেলাটিতে মারা যায় ৬শরও বেশি মানুষ।
করোনা মোকাবিলায় বগুড়ার মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল এবং শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউসহ সব ধরনের প্রস্তুতি থাকার পরও জনবল ও কিট সংকটে পরীক্ষা শুরু করা যাচ্ছে না।
২০২০ সালে ল্যাব স্থাপন করা হয় সাবেক মন্ত্রী দীপু মনির বাসভবনে। সরকার পতনের পর ল্যাবের সরঞ্জাম লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এখন উপসর্গ থাকা রোগীদের পাঠানো হচ্ছে কুমিল্লায়। ভোগান্তি এড়াতে উপসর্গ থাকার পরও গোপন করেছেন অনেকে। করোনা প্রতিরোধে সংক্রমিতদের চিহ্নিত করে আইসোলেশনের বিকল্প নেই। তাই দ্রুত পরীক্ষা শুরুর তাগিদ সকলের।
ডিবিসি/এএনটি