থাইল্যান্ডের সাথে সীমান্ত সংঘাত নিরসনে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছাতে সাহায্য করার জন্য কম্বোডিয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
শুক্রবার (১লা আগস্ট) রাজধানী নম পেনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে কম্বোডিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী সুন চ্যান্থল এই অঞ্চলে শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানান।
চ্যান্থল বলেন, "জাতিসমূহের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব বৃদ্ধিতে" অবদান রাখার জন্য সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক সম্মাননা নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্টকে মনোনীত করা উচিত। তিনি বলেন, "শান্তির জন্য তার মহৎ প্রচেষ্টাকে আমরা স্বীকৃতি দিই।"
গত সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডের নেতাদের সাথে কথা বলে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন যে, লড়াই বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র এই দুটি দেশের সাথে "বাণিজ্যের টেবিলে" ফিরবে না।
তার এই চাপের পরেই সোমবার মালয়েশিয়ায় একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যা এক দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে দুই দেশের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘাতের অবসান ঘটায়।
সাম্প্রতিক স্কটল্যান্ড সফরে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, "অসংখ্য মানুষ নিহত হচ্ছিল এবং আমি এমন দুটি দেশের সাথে কথা বলছিলাম যাদের সাথে আমাদের খুব ভালো সম্পর্ক। তারা ৫০০ বছর ধরে মাঝেমধ্যে লড়াই করে আসছে। এবং আমরা সেই যুদ্ধ সমাধান করেছি... আমরা এটি বাণিজ্যের মাধ্যমে সমাধান করেছি।"
গত সপ্তাহে একটি স্থলমাইন বিস্ফোরণে পাঁচজন থাই সৈন্য আহত হওয়ার পর এই সংঘাত শুরু হয়। পাঁচ দিন ধরে চলা এই সংঘর্ষে উভয় পক্ষই একে অপরকে দায়ী করে। এতে কমপক্ষে ৪৩ জন নিহত এবং তিন লক্ষেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
এটিই প্রথম নয় যে ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হচ্ছে। গত মাসে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং জুনে পাকিস্তানি কর্মকর্তারা ভারতের সাথে সংঘাত নিরসনে ভূমিকার জন্য তাকে এই পুরস্কারের জন্য সুপারিশ করার কথা জানিয়েছিলেন।
তথ্যসূত্র ফক্স নিউজ।
ডিবিসি/এমইউএ