বাংলাদেশ, জেলার সংবাদ

শাশুড়িকে পেটালেন পুত্রবধূ, যোগ দিল ছেলেও, গ্রেপ্তার ৫

ডেস্ক নিউজ

ডিবিসি নিউজ

রবিবার ৩১শে আগস্ট ২০২৫ ০৪:৫৯:৫১ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

পাবনার সাঁথিয়ায় পারিবারিক বিরোধের জেরে ৭৫ বছর বয়সী বৃদ্ধা কাঞ্চন খাতুনকে তার ছেলে ও পুত্রবধূর নির্মমভাবে মারধরের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এই অমানবিক ঘটনায় অভিযুক্ত ছেলে নজরুল ইসলাম (৪৫) ও তার স্ত্রী সোনালি খাতুনসহ (৪০) মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শনিবার (৩১শে আগস্ট) বিকেলে উপজেলার ধোপাদহ ইউনিয়নের হাঁপানিয়া রামচন্দ্রপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগীর মেয়ে আম্বিয়া খাতুনের দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রোববার তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

 

গ্রেপ্তার হওয়া অন্য তিনজন হলেন সোনালি খাতুনের ভাই মনিরুজ্জামান (৪২) এবং বোন ফরিদা খাতুন (৩৮) ও মুরশিদা খাতুন (৩৬)।

 

ভুক্তভোগীর মেয়ে আম্বিয়া খাতুন জানান, পারিবারিক বিরোধের জেরে তার মা কাঞ্চন খাতুন সম্পর্কে ভাবি সোনালি খাতুনের কাছে কেউ মিথ্যা অভিযোগ করে। বলা হয়, তার মা সোনালিকে গালমন্দ করেছেন। এই কথা শুনেই শনিবার বিকেলে সোনালি খাতুন তার শাশুড়িকে মাটিতে ফেলে মারধর শুরু করেন। পরে তার ভাই নজরুল ইসলামও এসে মাকে মারধর করেন এবং এক পর্যায়ে উঁচুতে তুলে মাটিতে আছাড় মারেন। তিনি আরও জানান, তার মায়ের শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং তিনি এই নির্যাতনের সুষ্ঠু বিচার চান।

 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, পুত্রবধূ সোনালি খাতুন বৃদ্ধা কাঞ্চন খাতুনকে মাটিতে ফেলে মারধর করছেন। কিছুক্ষণ পর ছেলে নজরুল ইসলাম এসে মায়ের গলা টিপে ধরেন এবং এক পর্যায়ে মাকে শূন্যে তুলে মাটিতে আছড়ে ফেলেন।

সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিসুর রহমান জানান, বৃদ্ধা মাকে মারধরের ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর সাঁথিয়া থানা পুলিশ ও সেনা ক্যাম্পের সদস্যরা যৌথ অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে আটক করে। ভুক্তভোগীর মেয়ের দায়ের করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে পাবনা আদালতে পাঠানো হয়েছে।

 

সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রিজু তামান্না জানান, ফেসবুকে ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়লে তা প্রশাসনের নজরে আসে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে কিছু স্থানীয় লোক বাধা সৃষ্টি করে। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের সহায়তায় অভিযুক্তদের আটক করেন এবং জিজ্ঞাসাবাদের পর থানায় হস্তান্তর করেন।

 

ডিবিসি/এনএসএফ

আরও পড়ুন