শাশুড়ির দেয়া তথ্যের ভিত্তিতেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের শাহজাহান রোডে আলোচিত মা-মেয়ে খুনের ঘটনায় গৃহকর্মী আয়েশাকে।
বুধবার (১০ই ডিসেম্বর) দুপুরে ঝালকাঠির নলছিটির কয়ারচর গ্রামে দাদা শশুরের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে মোহাম্মদপুর থানার পুলিশ। এ সময় তাঁর স্বামী রবিউল ইসলাম রাব্বিকেও গ্রেপ্তার করা হয়। আয়শার শাশুড়ি রুমা বেগমের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। আয়েশার দৃষ্টন্ত মুলক শাস্তি দাবি করেছে স্থানীয়রা।
আয়শার দাদা শশুর বাড়ির লোকজন জানায়, ঢাকা থেকে লঞ্চে বরিশালে আসেন আয়শা ও তাঁর স্বামী রাব্বি। বুধবার সকাল ১০টার দিকে তাঁরা নলছিটির কয়ারচর গ্রামে দাদা রুস্তুম সিকদারের বাড়িতে আসেন তাঁরা। গ্রামের আত্মীয়-স্বজনরা প্রথমে তাদের চিনতে পারেনি। পরে পরিচয় দিলে দাদার ঘরে ওঠেন স্বামী-স্ত্রী। ঘণ্টাখানের মধ্যেই ঢাকার মোহাম্মদপুর থানার পুলিশ ওই বাড়িতে গিয়ে আয়শা ও তাঁর স্বামী রাব্বিকে গ্রেপ্তার করে। স্বজনরা জানায়, আয়শার শাশুড়ি পুলিশকে জানায়, তাঁর ছেলে ও পুত্রবধূ নলছিটিতে দাদা বাড়িতে আছেন। পুলিশ ওই তথ্য পেয়েই অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।
মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) মো. আব্দুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে মোহাম্মদপুর থানার ৯ জনের একটি টিম এ অভিযান চালায়। গত সোমবার সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের শাহজাহান রোডে নিজের বাসায় খুন হন মা লায়লা আফরোজ (৪৮) ও মেয়ে নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজ (১৫)। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ আসামিকে সনাক্ত করেন।
নিহত লায়লা আফরোজ ছিলেন গৃহিণী, আর মেয়ে নাফিসা বিনতে আজিজ মোহাম্মদপুরের প্রিপারেটরি স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। নাফিসার বাবা এম জেড আজিজুল ইসলাম উত্তরায় সানবীমস স্কুলের পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষক।
ডিবিসি/এফএইচআর