বাংলাদেশ, জাতীয়

শিক্ষা ও নারীর ক্ষমতায়নে যুগান্তকারী সব পদক্ষেপ নেন বেগম খালেদা জিয়া

ডেস্ক নিউজ

ডিবিসি নিউজ

১ ঘন্টা আগে
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

রাজনীতির মাঠে 'আপসহীন নেত্রী' হিসেবে পরিচিত বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে দেশ ও জাতির কল্যাণে, বিশেষ করে শিক্ষার প্রসার, নারীর ক্ষমতায়ন এবং সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিতে যুগান্তকারী সব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন।

১৯৯১ সালে প্রথমবার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েই তিনি উচ্চশিক্ষার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেন। ১৯৯২ সালে তার উদ্যোগেই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাস হয় এবং দেশে প্রথমবারের মতো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় চালু হয়। বঞ্চিত ও ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের জন্য ১৯৯২ সালে আইন করে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন তিনি।

 

বেগম খালেদা জিয়ার আমলেই ১৯৯৩ সালে প্রাথমিক শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করা হয় এবং প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। নারী শিক্ষার প্রসারে তিনি উচ্চ মাধ্যমিক ছাত্রীদের জন্য উপবৃত্তি ও অবৈতনিক শিক্ষা চালু করেন এবং দুটি গার্লস ক্যাডেট কলেজ স্থাপন করেন। 

 

শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব দিয়ে ২০০১-০৬ মেয়াদে তিনি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিভাগকে নিজের অধীনে রাখেন। শিক্ষাক্ষেত্রে তার এসব উদ্যোগের ফলে ১৯৯১ সালে ৩০ শতাংশ স্বাক্ষরতার হার তার তৃতীয় মেয়াদ শেষে ৭০ শতাংশে উন্নীত হয়। ২০০২ সালে তিনি ১৯শে জানুয়ারিকে জাতীয় শিক্ষক দিবস ঘোষণা করেন।

 

প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক সংস্কারেও তিনি ছিলেন অগ্রগামী। ১৯৯১ সালে তার নেতৃত্বেই উপজেলা পদ্ধতি বিলুপ্ত করে স্থানীয় সরকার বিভাগ কমিশন গঠন করা হয়। নারীর ক্ষমতায়ন ও শিশু অধিকার রক্ষায় ১৯৯৪ সালে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠন করেন তিনি। 

 

অর্থনৈতিক সংস্কারের অংশ হিসেবে ১৯৯১ সালে ভ্যাট প্রবর্তন করেন, যা বর্তমানে রাজস্ব আয়ের প্রধান উৎস। এছাড়া ১৯৯৩ সালে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এবং বেসরকারিকরণ বোর্ড গঠন করেন। বিনিয়োগ ত্বরান্বিত করতে ব্যাংক কোম্পানি আইন যুগোপযোগী করেন।

 

তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসে ২০০১ সালে তিনি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় গঠন করেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ২০০৪ সালে রেপিড অ্যাকশন টিম বা র‍্যাব গঠন এবং অপারেশন ক্লিন হার্ট পরিচালনা করে জনজীবনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনেন। জীবদ্দশায় পাঁচটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে প্রতিবারই বিজয়ী হওয়া এই নেত্রী তিনবার সরকার গঠন করে দেশের উন্নয়নে নিজের ব্যতিক্রমী সাক্ষর রেখে গেছেন।


ডিবিসি/এমইউএ

আরও পড়ুন