শিশুদের মদ পান করিয়ে, মারধর করে ভিডিও তৈরি, পরে তা ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে ইউটিউব, টিকটকসহ সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে।
সুনামগঞ্জে এরকম একটি চক্রের ৮ কিশোরকে আটক করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। কিশোরদের সাইবার অপরাধ কমাতে অভিভাবকদের আরো সচেতন হবার দাবি সচেতন মহলের।
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট এলাকার শরিফ। পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন প্রতিবন্ধী এই শিশু ভবঘুরে স্বভাবের। এই সুযোগে গত দুই বছর ধরে সাত-আটজনের একটি চক্র তাকে দিয়ে ভিডিও তৈরি করে ইউটিউব, টিকটকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছে।
চক্রটি শিশুটিকে মদ পান করিয়ে এসব ভিডিও নির্মাণ করে। রাজি না হলে শিশুটিকে করা হতো নির্যাতন। সম্প্রতি বিষয়টি নজরে আসলে চক্রের আট কিশোরকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
প্রতিবন্ধী শিশু শরীফ বলেন, আমারে অনেক ডর দেখাইয়া মদ খাওয়াই। আমি না খাইতে চাইলে জোর করে খাওয়াইছে। আমার অনেক টিকটক ভাইরাল হইছে, এখন ভাইরাল হয়না জন্য তারা আমারে এমন মারধর করে চুলে ধইরা, তার জন্য দেখেন আমার চুলডি পর্যন্ত ফালায় দিছি।
এলাকাবাসী বলেন, টিকটকের মাধ্যমে যেন কোন নেগেটিভ বার্তা সমাজে না ছড়ায়। শিশুটি নির্যাতিত হয়েছে যা নাগরিক সমাজের জন্য উদ্বেগের বিষয়। শিশু নির্যাতন বন্ধে আইন প্রয়োগ সংস্থার আরো দায়িত্বশীল ভূমিকা গ্রহন করা উচিত।
সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, অনলাইনে কিশোর অপরাধীদের বিভিন্ন কার্যক্রমের বিষয়গুলো অবশ্যই নজরদারিতে থাকবে। কিশোর অপরাধ ঠেকাতে অভিভাবকদেরও সচেতন হতে হবে, তা না হলে এমন অপরাধ ঠেকানো মুসকিল। এমনই প্রত্যাশা সচেতন মহলের।
ইন্টারনেটের সহজলভ্যতা এবং অভিভাবকদের উদাসীনতার কারণেই কিশোর অপরাধে বাড়ছে বলছে সচেতন মহল। আর এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবি স্থানীয়দের।