এই সময় কোনো দিন ঠান্ডা, কোনো দিন একটু চড়া তাপমাত্রায় জাঁকিয়ে ধরে ফ্লু, সর্দি-কাশি। এই সময়টাতে বিশেষ করে ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপ, ক্যানসার ও কিডনির অসুখে আক্রান্তদের ক্ষেত্রে সচেতনতা আরও বাড়ানো দরকার।

অনেক সময় আমরা বুঝে উঠতে পারি না, কী ধরনের জ্বর এবং তা থেকে সেড়ে ওঠার উপায়। তাই সাধারণ জ্বরব্যধির ওষুধ খেয়েই সপ্তাহ খানেক সময় নষ্ট করেন রোগীরা। এই সময়টা নষ্ট না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিৎ।

সময় বদলের সঙ্গে সঙ্গে জীবাণুরাও তাদের চরিত্র বদলাচ্ছে। আগে সাধারণত চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খাওয়াদাওয়া, ওষুধপথ্য নিয়ম মেনে চললেই মুক্তি পাওয়া যেত ভাইরাল ফ্লু হাত থেকে। সে কারণেই আমাদের ভাইরাল ফিভারের উপসর্গ জেনে রাখা খুবই জরুরি।

যে যে লক্ষণ দেখে বুঝবেন-

এ সময় যে খুব বেশি জ্বর হবে এমন কোনও কথা নেই। হালকা গা গরম থেকেও শরীরে বাসা বাঁধতে পারে ভাইরাল ফ্লু।

জ্বরের সঙ্গে মাথা যন্ত্রণা, দুর্বল লাগা, স্বাদে অরুচি এগুলি অসুখের অন্যতম লক্ষণ।

জ্বরের সঙ্গে গা-হাত-পায়ে ব্যথা অনুভব বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই থাকে।

অ্যালার্জির প্রবনতা থাকলে নাক দিয়ে কাঁচা জল ঝরা, সর্দি-কাশির এই দেখা দিতে পারে।

ভাইরাল হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া আবশ্যক। প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ বা অ্যান্টিবায়োটিকেও জ্বর তিন-চার দিনে না কমলে রক্ত পরীক্ষা করতে হবে। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলার পাশাপাশি দৈনন্দিন জীবনে বেশ কিছু সতর্কতাও অবলম্বন করতে হবে।

সংক্রমণ ঠেকাতে মেনে চলুন-

* যতটা সম্ভব ঠান্ডা না লাগানোর চেষ্টা করুন। আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় অল্পেই ঠান্ডা লাগতে পারে। তার হাত ধরে জ্বরে পৌঁছে যাওয়া নতুন কিছু নয়।

* ঠান্ডার ধাত থাকলে গোটা শীত ও বসন্ত কাল জুড়েই উষ্ণ জলে স্নান করুন।

* চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কড়া ডোজের অ্যান্টিবায়োটিক বা অন্য কোনও ওষুধ নয়।

* পাতে রাখুন সবুজ শাক-সব্জি, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে এমন খাবারদাবার।

*বেশি দূষণযুক্ত এলাকায় থাকলে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করুন।

* শরীরে জলের পরিমাণ কমিয়ে ফেললে চলবে না। ঠান্ডা পানীয়, মদ্যপান এ সব থেকে দূরে থাকুন। কারণ এই সব তরল শরীরের জল শোষণ করে শরীরকে শুষ্ক করে দেয়।

* কাশি হলে দোকান থেকে কিনে আনা যে কোনও কাফ সিরাপ নয়। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তবেই এ সব ব্যবহার করুন।