শীতের তিন মাস জীবিকা নির্বাহ করেন গান গেয়ে আর বছরের বাকি সময় চলে মোবাইল চুরি করে। টার্গেট বছরে কমপক্ষে ৫শ’ মোবাইল চুরি। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে মোবাইল চোরচক্রের দুই সদস্যেকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ বলছে এরা পেশাদার মোবাইল চোর সিন্ডিকেটের সদস্য।
ভোলার লালমোহন এলাকার আব্দুল্লাহ আল নোমান।নিজেকে দাবি করেন একজন গায়ক হিসেবে। শীত মৌসুমে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান গেয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। তবে এই পেশার আড়ালে তার আরোও একটি পেশা আছে। তা হচ্ছে মোবাইল চুরি। বছরের বাকি সময়টা তার উপার্জনের একমাত্র পথ মোবাইল চুরি।
রবিবার সকালে এই ব্যক্তির দুটি মোবাইল ফোন চুরি হয় তার বাড়ি থেকে। থানায় অভিযোগের পর তদন্ত শুরু করে পুলিশ। ভুক্তভোগী সৈয়দ আরিফ হোসেন বলেন,'সেল ফোনে ব্যবহৃত নাম্বারে ফোন দিলে খোলা পাওয়া যায়। চোর ফোনটি রিসিভ করে আমার কাছে টাকা দাবি করে।'
পুলিশ প্রযুক্তির সহায়তায় শনাক্ত করে মোবাইল চোরকে।গেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায় বছরের ৯ মাস সে মোবাইল চুরি করে। চোরাই মোবাইল বিক্রি করে গুলিস্তানের হানিফ নামে একজনের কাছে।
নিউমার্কেট জোন সিনিয়র সহকারি পুলিশ কমিশনার আবুল হাসান জানান,'গত দেড় বছরে সে প্রায় সাড়ে সাত শত মোবাইল ফোন চুরি করেছে। সে ওই চোরাই ফোন গুলিস্তানে এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দেয়, পরে সে সেগুলো আলাদাভাবে বিক্রি করে থাকে।'
চোরাইকৃত যেসব মোবাইলের লক খুলতে সমস্যা হয় সেগুলোর বিভিন্ন পার্টস খুলে বিক্রি করা হয় পল্টনের বিভিন্ন দোকানে। সিনিয়র সহকারি পুলিশ কমিশনার আবুল হাসান আরও জানান,'যিনি চুরি যাওয়া ফোনগুলো কেনেন তিনি সরাসরি ফোনগুলো বিক্র করতে চেষ্টা করেন।'
পুলিশ বলছে এই চোর চক্রে আরো কয়েকজন রয়েছে। যারা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার বাসা বাড়ি থেকে মোবাইল চুরিই তাদের পেশা।