শীত প্রায় এসেই পড়লো। এসময় পায়ের গোড়ালি ফাটা নিয়ে অনেকেই চিন্তির। তবে পা ফাটা রোধ করতে আপনাকে কয়েকটি ঘরোয়া টিপস মেনে চলতে হবে।
অনেক বেশি হাঁটাচলা, দিনের দীর্ঘসময় দাঁড়িয়ে কাজ করা, আবহাওয়াজনিত কারণ, পরিবেশ দূষণ, ডায়াবেটিকস, থাইরয়েড, খাবার গ্রহণে অনিয়ম, শরীরে পুষ্টির অভাব, বয়সের প্রভাব ইত্যাদি দেখা দিলেই মূলত এই সমস্যাটি দেখা দেয়।
প্রতিকারের ঘরোয়া টিপসগুলো হলোঃ
১-বেকিং সোডার ব্যবহার
একটি বালতি অথবা গামলায় তিন লিটার পানি ঢালুন। পানিতে তিন চামচ বেকিং সোডা ভালোভাবে মিশান। পানিতে ২০মিনিট পা ডুবিয়ে রাখুন। পানি থেকে পা তুলে পিউমিক স্টোনের সাহায্যে পায়ের গোড়ালি আস্তে আস্তে ঘষুন। মরা চামড়া তুলে ফেলুন। এরপর পরিষ্কার পানিতে পা ধুয়ে তোয়ালে দিয়ে মুছে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। পা শুকিয়ে এলে ময়েশ্চারাইজার ম্যাসাজ করুন। সপ্তাহে অন্তত তিন বার এইভাবে বেকিং সোডা ব্যবহার করুন। তাহলে পা কোমল ও আকর্ষণীয় হবে। পা ফাটা রোধ হবে।
২-অ্যালোভেরা জেলের ব্যবহার
পরিষ্কার পাত্রে তিন লিটার কুসুম গরম পানিতে পরিমাণ মত লবণ মিশিয়ে তাতে ২০মিনিটের জন্য পা ভিজিয়ে রাখুন। পানি থেকে পা তুলে মুছে শুকিয়ে নিন। শুকনো পায়ের গোড়ালিতে অ্যালোভেরা জেল আলতো করে ম্যাসেজ করে মোজা পরুন। এভাবে সারারাত রেখে পরদিন সকালে কুসুম গরম পানিতে পা ধুয়ে ফেলুন। এভাবে সপ্তাহে অন্তত দুই বার ব্যবহার করুন। আস্তে আস্তে গোড়ালি কোমল ও মসৃণ হবে।
৩-ভেজিটেবল অয়েলের ব্যবহার
পা ফাটা রোধের জন্য কার্যকরী কিছু ভেজিটেবল তেল আছে। যেমন- অলিভ অয়েল, তিলের তেল, নারকেল তেল, সরষের তেল ও বাদাম তেল ইত্যাদির ব্যবহারে পা ফাটা রোধ হয়, পা আকর্ষণীয় ও কোমল হয়। রাতে ঘুমানোর পূর্বে পরিষ্কার পায়ে তেলের মালিশ করে ঘুমান। অল্প দিনের অধ্যেই আশানুরূপ ফল পাবেন।
৪-গোলাপজল ও গ্লিসারিনের ব্যবহার
পা ফাটা রোধে গ্লিসারিন ও গোলাপজলের মিশ্রণ অধিক কার্যকরী। গ্লিসারিন ত্বককে কোমল করে আর গোলাপজলে আছে ভিটামিন এ, বি৩, সি, ডি ও ই। আরও আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টিসেপটিকের মত উপাদান।যা ত্বকের জন্য কার্যকরী সমাধান বহন করে। প্রতিরাতে ঘুমানোর পূর্বে গ্লিসারিনের সঙ্গে সমপরিমাণ গোলাপজল মিশিয়ে পায়ে ম্যাসাজ করুন। অল্প দিনেই পা সুন্দর ও আকর্ষণীয় হবে। পা ফাটা রোধ হবে।
৫-মধুর ব্যবহার
পরিষ্কার পাত্রে দুই লিটার কুসুম গরম পানিতে দুই টেবিল চামচ মধু মিশান। এরপর পানিতে ১০ মিনিট পা ডুবিয়ে রাখুন। পা মুছে শুকান এবং গ্লিসারিন, লেবুর রস এবং গোলাপ জলের মিশ্রন পায়ের ফাটা জায়গায় লাগিয়ে দিন। এভাবে কয়েকদিন ব্যবহার করুন।
৬-পাকা কলার ব্যবহার
পাকা কলা চটকে পায়ের ফাটা অংশে ২০মিনিট লাগান। কিছুক্ষণ পর কুসুম গরম পানি দিয়ে পা ধুয়ে ফেলুন। এতে প্রচুর ভিটামিন রয়েছে, যা পা ফাটা রোধ করতে সাহায্য করবে। পায়ের ত্বক কোমল ও মসৃণ হবে।
৭-ভেসলিন ও লেবুর রস
লেবুর রসের সঙ্গে ভেসলিন মিশিয়ে পা লাগাতে পারেন। পায়ের মরা কোষ তুলতে প্রতিদিন পিউমিক স্টোন দিয়ে পা ভালো করে ঘষুন। আস্তে আস্তে মরা চামড়া সরে গোড়ালি সফট হবে। গোড়ালি ফাটা রোধ হবে।