ড্রাই ফ্রুটের মধ্যে আমাদের কাছে অন্যতম পরিচিত হচ্ছে কিশমিশ। পোলাও কিংবা পায়েস-কিসমিস ছাড়া এসব খাবারের স্বাদ একেবারেই জমে না। তবে শুধু স্বাদের জন্য নয়, কিশমিশ বা শুকনো আঙুর স্বাস্থ্যের জন্যেও ভালো। ভিটামিন বি এবং সি, আয়রন, পটাসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের গুণে ভরপুর কিশমিশ, বিভিন্ন ধরনের রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। স্বাস্থ্য সচেতনদের অনেকেই কিশমিশ ভেজানো পানি পান করে থাকেন।
স্বাদ এবং স্বাস্থ্য, দুইয়ের খেয়াল রাখতে প্রতিদিন কয়েকটি কিশমিশ খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদেরা। কিশমিশ অনেক পরিচিত হলেও কিন্তু এর স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেকেই জানেন না। গ্যাস্ট্রিক, কোষ্ঠকাঠিন্যসহ বিভিন্ন রোগে অনেক উপকারী ভূমিকা রাখে এটি। কিশমিশ খাওয়ার ৭ স্বাস্থ্য উপকারিতা জেনে নিন-
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমায় : কিশমিশে পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম অনেক ভালো মাত্রায় থাকে। আর এগুলো অ্যাসিডিটি কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়া সিস্টেম থেকে টক্সিন অপসারণ করার পাশাপাশি আর্থ্রাইটিস, গাউট, কিডনিতে পাথর এবং হৃদরোগের মতো রোগ প্রতিরোধেও সহায়তা করে।
ফাইবারে ভরপুর : কিশমিসশে রয়েছে সহজপাচ্য ফাইবার। যা হজমশক্তি ভালো রাখতে পারে। অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখা থেকে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে কাজ করে।
রক্তাল্পতায় উপকারী : কিশমিশে প্রচুর পরিমাণে আয়রন এবং ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স থাকায় তা রক্তাল্পতার চিকিৎসায় সাহায্য করে। আর কিশমিশে থাকা তামা লোহিত রক্তকণিকা তৈরিতেও সাহায্য করে।
ক্লান্তি কাটাতে : এতে রয়েছে ফ্রুক্টোজ এবং গ্লুকোজের মতো প্রাকৃতিক শর্করা। যা কাজের একঘেয়েমি বা ক্লান্তি কাটাতে সাহায্য করে। শরীরচর্চা করার আগে বা পরে, একমুঠো কিশমিশ খেলে ক্লান্তি কাটে। শরীর আবার চনমনে হয়ে ওঠে।
হাড়ের জোর বাড়ে : ক্যালসিয়াম এবং বোরনের মতো প্রয়োজনীয় বেশ কিছু উপাদান রয়েছে কিশমিশে। যা হাড়ের ঘনত্ব বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। যা বয়সকালে অস্টিওপোরোসিসের মতো হাড়ের রোগ রুখে দিতে পারে।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে : উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে পটাসিয়াম। কিশমিশের মধ্যে এই উপাদানটির মাত্রা অনেকটাই বেশি। শরীরে লবণের ভারসাম্য বজায় রাখতে কিশমিশের জুড়ি মেলা ভার।
ত্বকের জন্য উপকারী : কিশমিশ ত্বককে ভেতর থেকে রক্ষা করে কোষকে যে কোনো ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। এর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকের কোষ, কোলাজেন এবং ইলাস্টিনের ক্ষতি থেকে ফ্রি র্যাডিকেলগুলো বাঁধা দেয়। এ কারণে এটি বার্ধক্যের লক্ষণ যেমন- বলিরেখা, সূক্ষ্ম রেখা ও ত্বকে দাগ দেখা দেওয়ার সমস্যা বিলম্ব করতে সাহায্য করে।