শুধু কার্যক্রম নিষিদ্ধের মধ্যে থাকলেই হবে না, রাজনৈতিক দল হিসেবে নিষিদ্ধ করতে হবে আওয়ামী লীগকে। বিচার করতে হবে দলটির অপরাধী সব নেতাকর্মীর। আর তা না করলে আবারও রাজপথে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি- এনসিপি। বিচার নিশ্চিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন তুলছে দলটি। এদিকে, ফ্যাসিস্টদের বিচারের দাবিতে জাতীয় ঐক্যের পাশাপাশি 'বিচারিক পদ্ধতিতে' আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিলের পরামর্শ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের।
গত শনিবার (১০ই মে) আন্দোলনের মুখে বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দলটিকে বিচারের মুখোমুখি করতে আর্ন্তজাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আইনেও আনা হয় সংশোধনী। সোমবার (১২ই মে) রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করে প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন।
দ্রুত সময়ের মধ্যে সব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন চাইলেন এনসিপি নেতারা। বিচার প্রক্রিয়ায় ধীর গতিতে হতাশা প্রকাশ করে প্রশ্ন তোলেন আর্ন্তজাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারিক সক্ষমতা নিয়ে। দৃশ্যমান বিচারের পাশাপাশি দাবি তোলেন, সারাদেশের ফ্যাসিস্ট গণহত্যাকারীদের চিহ্নিত করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনার। জানান, প্রয়োজনে আবারও রাজপথে নামতে প্রস্তুত তারা। শুধু এনসিপি নয়, ফ্যাসিস্টদের বিচারের দাবিতে জাতীয় ঐক্য বজায় রাখার পরামর্শ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোরও। বিচারিক পদ্ধতিতে দ্রুত দলটির নিবন্ধন বাতিলের দাবি তাদের। অপরাধীদের বিচারের পাশাপাশি ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণের দাবিও জানান রাজনৈতিক নেতারা।
ডিবিসি/ রাসেল