অবশেষে শুরু হচ্ছে আবহমান বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের আখ্যান নির্ভর লোকগাথা কাজলরেখার কাজ। মিথিলা, শরিফুল রাজ, ইরেশ জাকের, আজাদ আবুল কালামদের মত তারকাদের নিয়ে তৈরি হচ্ছে সরকারী অনুদানের চলচ্চিত্র কাজলরেখা।
২০০৯ সালে মুক্তি পায় নির্মাতা গিয়াসউদ্দিন সেলিমের প্রথম চলচ্চিত্র 'মনপুরা'। মনপুরার আকাশচুম্বী সাফল্যের পর সেলিম ঘোষণা দিয়েছিলেন পরের চলচ্চিত্র কাজলরেখা নির্মাণের।
কিন্ত কালের পরিক্রমায় স্বপ্নজাল,পাপপুণ্য,গুনিন চলচ্চিত্রের কাজ শেষ হলেও থেমে ছিল কাজলরেখার কাজ। অবশেষে শুরু হচ্ছে 'কাজলরেখা' নির্মাণের কাজ। মৈমনসিংহ গীতিকা ‘কাজলরেখা’র পালা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এই নামেই সিনেমাটির গল্প ও চিত্রনাট্য লিখেছেন তিনি।
পরিচালক গিয়াসউদ্দিন সেলিম বলেন, সুসং দুর্গাপুরে আমাদের সেটের কাজ চলছে। একেবারে ভারতের বর্ডারের কাছে। এখানে খুবই আনন্দের বিষয় যে সেট বানানোর কাজে প্রায় ৪০ জন গারো এবং হাজং আমাদের সাথে কাজ করছে।
ময়মনসিংহ গীতিকার ‘কাজল রেখা’ পালা অবলম্বনে নির্মাণাধীন এই চলচ্চিত্রে গুরুত্বপুর্ণ চরিত্রে অভিনয় করছেন দুই বাংলার আলচিত মুখ রাফিয়াত রশিদ মিথিলা।
মিথিলা বলেন, প্রথমদিন আমি শুনেই সেলিম ভাইকে বলেছিলাম যে, কঙ্কন দাসের চরিত্রটি আমার খুবই ইন্টেরেষ্টিং লাগে।
এ সিনেমা বিষয়ে তিনি আরও বলেন, প্রথমত এখন আমাদের আশেপাশে যেসব ছবি হয় সেখানে নায়ক ও খলনায়কের চরিত্রে দুজন পুরুষকেই দেখা যায়। কিন্তু এ ছবিতে নায়ক এবং খলনায়ক দুজনই নারী। তো আমার কাছে মনে হয়েছে এ গল্পে এটা খুব ইন্টেরেষ্টিং একটি দিক।
সম্প্রতি সংবাদ সম্মেলনে কাজলরেখা প্রসঙ্গে নানা তথ্য দেন গিয়াসউদ্দিন সেলিম ও কাজলরেখার কলাকুশলীরা।
অভিনেতা শরিফুল রাজ বলেন, আমার মনে হয় কাজল রেখায় আমার জন্য খুব চ্যালেঞ্জিং একটা চরিত্র সুচ কুমার। মৃত সুচ কুমার।
এরইমধ্যে প্রাক-প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন নির্মাতা। শিগগিরই শুটিংয়ে যাওয়ারও প্রস্তুতি নিচ্ছে টিম কাজলরেখা।
নবাগত মন্দিরা চক্রবর্তী জানান, আমার মনের মধ্যে একটা স্বপ্ন ছিল যে আমি এরকম কোন প্রজেক্টে কাজ করবো।
এই চলচ্চিত্রে কাজ করবেন শরিফুল রাজ, ইরেশ যাকের, রাফিয়াত রশিদ মিথিলা, মন্দিরা চক্রবর্তী, আজাদ আবুল কালাম, খায়রুল বাসার, সাদিয়া আয়মানসহ অন্যান্য শিল্পীরা।