ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের বিদেশে থাকা সম্পদের তথ্য সংগ্রহে জটিলতা দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মহাপরিচালক আক্তার হোসেন। এ কারণে অনুসন্ধান ও মামলা পরবর্তী তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করতে বিলম্ব হচ্ছে। তিনি আরও জানান, শেখ পরিবারের বিরুদ্ধে ডজনখানেক অনুসন্ধান ও তদন্ত চলমান রয়েছে।
গণঅভ্যুত্থানের পর শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর থেকে দুদকে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ জমা পড়তে শুরু করে। এর মধ্যে পূর্বাচলে প্লট জালিয়াতির মামলার চার্জশিট ছাড়া বেশিরভাগ অনুসন্ধান এখনও আলোর মুখ দেখেনি। শেখ পরিবারের বিরুদ্ধে দুদকের চলমান অনুসন্ধানগুলোর মধ্যে রয়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, বিমানবন্দর উন্নয়নে দুর্নীতি, সূচনা ফাউন্ডেশন, সিআরআই এবং প্রত্যেকের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ।
দুদক মহাপরিচালক বলেছেন, তারা সব অনুসন্ধান শেষ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, তবে বিদেশে সম্পদের তথ্য পেতে সমস্যার কারণে অনুসন্ধানে ধীরগতি রয়েছে।
একই দিনে দুদক কুমিল্লা-৪ আসনের সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ এবং হাই স্পিড গ্রুপের পরিচালক ইফতেখার আহমেদ মাসুদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে। তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, কমিশন বাণিজ্যসহ দুর্নীতির বিভিন্ন অভিযোগ আনা হয়েছে।
ডিবিসি/এএমটি