শেরপুরের নকলায় গৃহবধূর লাঠির আঘাতে ভাসুর মোরাদ হোসেন (৫৫) নিহত হয়েছেন। মোরাদ ঢাকায় সিকিউরিটি গার্ডের চাকরি করতেন।
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার টালকী ইউনিয়নের পূর্বটালকী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মোরাদ একই গ্রামের মৃত রহিম মাস্টারের ছেলে।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, মোরাদ হোসেন দীর্ঘদিন যাবৎ ঢাকার কল্যাণপুর এলাকায় সিকিউরিটি গার্ডের চাকরি করতেন। তার চাচাত ছোট ভাই জালাল উদ্দিনের সাথে বশতবাড়ির সীমানা নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। ঈদে ছুটি না পেয়ে আজ সকালে মোরাদ ঢাকা থেকে নিজ বাড়ি পূর্বটাকলীতে আসেন। সাথে কিছু ঘরের আসবাবপত্র নিয়ে আসেন। আসবাবপত্র নিয়ে বাড়িতে প্রবেশ নিয়ে চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রী মাজেদা বেগমের সাথে তর্ক-বিতর্কের এক পর্যায়ে মাজেদা বেগম লাঠি দিয়ে মাথার পিছনে আঘাত করলে মোরাদ মাটিতে পরে যায়।
স্থানীয়রা উদ্ধার করে নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষনা করেন। এ ঘটনায় মাজেদা বেগম ও তার মেয়ে খুসি বেগমকে আটক করে পুলিশ। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল কাদের মিয়া জানান, টালকী ইউনিয়নের পূর্বটালকী গ্রামে জমি সংক্রন্তে পূর্বশত্রুতার জেরে মাজেদা বেগমের লাঠির আঘাতে মোরাদ হোসন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মাজেদা বেগম ও তার মেয়ে খুসিকে আটক করেছি।
তিনি আরও জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শেরপুর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
ডিবিসি/ এইচএপি