গায়ে হলুদের আয়োজনে মোটরবাইক শোভাযাত্রা, চালকের আসনে কনে নিজেই। সেই দৃশ্য এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল। বাঙালি কনের এমন কাণ্ডে দেশে-বিদেশে রীতিমত আলোড়ন। মাত্র দু'দিনে ভিডিওটি দেখেছেন কোটির ওপরে মানুষ।
বর হাসনাইন রাফি, বাড়ি পাবনা। টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। কনে ফারহানা আফরোজ। যশোর শহরের সার্কিট হাউজ এলাকার মেয়ে। বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শেষ করেছেন সম্প্রতি। গত ১৪ আগস্ট বিয়ে হয় তাদের। আগের দিন ছিলো ফারহানার গায়ে হলুদ।
গায়ে হলুদ ঘিরে ছিলো আলোড়ন তোলা এই আয়োজন। অনুষ্ঠানটি ব্যতিক্রম করতে ফারহানা মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা করেন শহরজুড়ে। সঙ্গে ছিল তার বন্ধুরাও।
আলোচিত বাইকার কনে ফারহানা আফরোজ বলেন, 'আমি বাইক চালাতে পারি এটা আমার শ্বশুর বাড়ির লোকেরা জানে, বাপের বাড়ির লোকজন তো জানেই। আমি ভাবলাম যে ফ্রেন্ড সার্কেলরা মিলে এন্ট্রিটা দিলে বাইক দিয়েই দেই। মেয়েরা যেমন নাচতে নাচতে দেয়, আমি ভাবলাম বাইক দিয়েই এন্ট্রি দেই, এটাই ছিলো ব্যাপারটা।'
আয়োজনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দিলে মুহুর্তেই তা ভাইরাল হয়। অনেক দিন ধরে মোটরবাইক চালানোর অভ্যস্ততা থেকেই ভিন্ন এই আয়োজনের চিন্তা বলে জানান কনে ফারহানা। তিনি বলেন, 'আজকাল কেউ আসলে পিছিয়ে নেই, যদি ফ্যামিলি সাপোর্ট থাকে সবাই এগিয়ে যেতে পারে। আমার সাপোর্ট আছে আমি এগুচ্ছি। ফ্যামিলি যদি স্ট্রং থাকে এবং বলে তুমি আগাও আমি পিছনে আছি, তাহলে মেয়েরা যুদ্ধও জয় করতে পারে।'
শ্বশুরের কাছ থেকে মোটরসাইকেল উপহার পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। শ্বশুরের প্রতিশ্রুত মোটরবাইকটি ঢাকা থেকেই কেনার ইচ্ছে আছে তার।
ফারহানার শ্বশুর মোহাম্মদ রশিদ শেখ বলেন, 'ঢাকায় অনেক যানজট, এই জট এড়ানোর জন্য আমি তাকে মোটরবাইক কিনে দিতে চাই, যেন নিরাপদভাবে ঢাকায় চলাচল করতে পারে।'
যশোর সরকারি বালিকা বিদ্যালয় থেকে ২০১১ সালে এসএসসি ও ২০১৩ সালে যশোর আব্দুর রাজ্জাক কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন ফারহানা। এখন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ) থেকে এইচআর-এ এমবিএ করছেন ফারহানা।