মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে দুর্গম পাহাড়ী এলাকায় তিনটি প্রাচীন সরু গিরিখাতের সন্ধান মিলেছে। একই পাহাড়ে কয়েকটি ছোট ছোট ঝরণাও রয়েছে। এসব অপরূপ গিরিখাত ও ঝরণা বিশ্বের অন্যান্য গিরিখাতের মতোই আকর্ষণীয় ও রোমাঞ্চকর।
সম্প্রতি এসব গিরিখাত ও ঝরণার সন্ধান পেয়েছেন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীরর উপজেলা সমন্বয়কারী ও স্থানীয় কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মী।
উচু-নিচু পাহাড়-টিলা-ছরা দূর্গম পাহাড়ি পথ পেরিয়ে দেখা মিলবে সরু গিরিখাত। কোথাও ঘন জঙ্গল, আলো কম। কোথাও বা খাড়া পাহাড় পাথরের দেয়াল। আবার কোথাও গাছের অংশ ছড়ার পানিতে থাকতে থাকতে ফসিল হয়ে গেছে।
এটি মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার সিন্দুরখানের সীমান্তবর্তী পাহাড়ী এলাকায় সম্প্রতি সন্ধান পাওয়া নতুন গিরিখাত। একেকটি প্রায় এক কিলোমিটার লম্বা। এরুপ নতুন তিনটি গিরিখাতের সন্ধান পেয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও গণমাধ্যমকর্মীকে অবহিত করেছেন ক্ষুদ্র নৃ-ত্বাত্তিক জনগোষ্টি শ্রীমঙ্গল উপজেলা সমন্বয়কারী তাজুল ইসলাম জাবেদ। স্থানীয়রা এই তিন গিরিখাতের নাম দিয়েছেন 'নিসর্গ গিরিখাত', 'উল্কা গিরিখাত' অপরটি 'ব্যাকুল প্রাণ' গিরিখাত।
ইতিমধ্যে দূর্গম পাহাড়ের একটি গিরিখাত পরিদর্শন করেছেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। এগুলোকে 'নেনো স্লট গিরিখাত' বলা যেতে পারে বলে মনে করছেন তিনি।
সদ্য সন্ধান পাওয়া গিরিখাতকে “নৈস্বগিক স্বর্গ উদ্যান” নামকরণ করে করোনার সময়ে পর্যটকদের সেখানে না যাওয়ার অনুরোধ জানানজেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিন।
মৌলভীবাজার শহর থেকে ৪৫ কিলোমিটার ও শ্রীমঙ্গল থেকে প্রথমে ১৫ কি:মি পাকা, পরে প্রায় ৬ কি: মি: কাচা রাস্তা এবং পরে ৩ কি:মি: পাহাড়-ছড়া পেরিয়ে দেখা মিলবে এই “নৈস্বগিক স্বর্গ উদ্যান” এর। তবে তিনটি গিরিখাত দেখতে হলে যেতে হবে ভিন্ন ভিন্ন তিনটি পথে।