মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে মাইক্রোবাসের সঙ্গে ধাক্কা লাগার পর কাভার্ডভ্যান ও একটি কন্টেইনারের সঙ্গে সংঘর্ষে উড়ে যায় বরিশাল এক্সপ্রেস নামের যাত্রীবাহী বাসের ছাদ। তবু বাস না থামিয়ে ছাদবিহীন গাড়িটি কয়েক কিলোমিটার পথ চালিয়ে নিয়ে যান চালক। পরে জনরোষে গাড়ি থামান বাসটির চালক।
বৃহস্পতিবার রাত নয়টার পর ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের শ্রীনগরের সমষপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরপর তিন দফা দুর্ঘটনায় পড়ে আহত হন বাসের ১৫ থেকে ২০ যাত্রী।
বাসের যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঢাকা থেকে বরিশাল এক্সপ্রেস নামের বাসটি দ্রুতগতিতে চালাচ্ছিলেন চালক। রাত ৯টার দিকে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের শ্রীনগরের কামারখোলা এলাকায় পৌঁছলে একটি কাভার্ড ভ্যানের সঙ্গে ধাক্কা লাগে বাসটির। এতে বাসটির সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এ সময় চালক বাসটি না থামিয়ে আরও বেপরোয়া গতিতে চালাতে থাকেন। সমষপুর এলাকায় পৌঁছে অপর একটি প্রাইভেটকারকে পেছন থেকে ধাক্কা দিলে বাসটির ছাদ বডি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে রাস্তায় পড়ে যায়। যাত্রীরা বাসটি থামাতে অনুরোধ করলেও চালক তা উপেক্ষা করে।
যাত্রীরা বলেন, চালক দুর্ঘটনাস্থলের অদূরে হাইওয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর গাড়ি দেখে ছাদবিহীন চলন্ত বাস চালিয়ে পদ্মা সেতু উত্তর থানার লৌহজংয়ের কুমারভোগ এলাকায় নিয়ে আসে। এরপর বাসটি থামিয়ে চালক পালিয়ে যায়।
পদ্মা সেতু উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জাকির হোসেন বলেন, ছাদবিহীন বাসটি এক্সপ্রেসওয়ের পাশে লৌহজংয়ের কুমারভোগ গ্রাম থেকে আটক করা হয়েছে। এখন থানায় রয়েছে। বাসচালক পালিয়ে গেছেন। তাকে ধরতে হাইওয়ে পুলিশ কাজ করছে।
ডিবিসি/কেএলডি