রাজধানীর সবুজবাগে ঘরে ঢুকে দুই শিশু সন্তানের হাত-পা বেঁধে মাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শিশুদের শরীরও রক্তমাখা ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় সকালে মামলা করেছেন নিহতের স্বামী মাইনুল ইসলাম।
গতকাল সবুজবাগের বেগুনবাড়ী মাস্টার গলি এলাকার একটি বাসা থেকে মুক্তা নামের ওই মায়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ঘরে ঢুকে তাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তার পিঠে ও গলায় জখমের চিহ্ন পাওয়া গেছে। মরদেহের পাশে স্কচ টেপ দিয়ে মুখ প্যাচানো ও হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পড়েছিল দুই ছেলে-মেয়ে। ধারণা করা হচ্ছে- বাসার শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র ঠিক করতে এসে মুক্তাকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
সবুজবাগ থানার পরিদর্শক আজগর আলী জানান, জাতীয় জরুরিসেবা ‘৯৯৯’-এ ফোন পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে মুক্তাকে রক্তাক্ত ও মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। এ সময় গায়ে রক্ত মাখানো ও মুখে স্কচটেপ পেঁচানো তার দুই সন্তানকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শনিবার দুপুরের পর কোনো এক সময় দুর্বৃত্তরা এসে মুক্তাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। তার পিঠে ও গলায় জখমের দাগ রয়েছে। তবে কারা কী কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা জানা যায়নি।
সবুজবাগ থানা পুলিশ জানায়, মুক্তার বড় সন্তানের বয়স পাঁচ থেকে ছয় বছর। ছোট সন্তানের বয়স দেড় বছর। মুক্তার গ্রামের বাড়ি রংপুরে। তার পরিবারকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তারা ঢাকা আসছেন। সিআইডির ফরেনসিক টিম আলামত সংগ্রহ করেছে। এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি।
শিশুদের গায়ে কোনো আঘাত ছিল না বলে জানিয়েছেন পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার মো. আ. আহাদ। তিনি বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে, এসি ঠিক করতে এসে এক বা একাধিক ব্যক্তি বাসায় ঢুকে মুক্তাকে কুপিয়ে হত্যা করে। বাসার এসি খোলা অবস্থায় নামানো এবং জিনিসপত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল। কিছু খোয়া গেছে কি না বা হত্যার পেছনে অন্য কোনো কারণ রয়েছে কি না সে বিষয়ে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’