সোমবার দুদকের দেয়া নির্ধারিত সময়ে হাজির হন খালিদী। তবে এদিন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি।
সন্দেহজনক লেনদেনসহ অবৈধ সম্পদের অভিযোগে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালেদীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করছে দুদক। সোমবার তাকে জিজ্ঞাসাবাদের কথা ছিলো।
তবে গেল বৃহস্পতিবার তিনি জিজ্ঞাসাবাদের সময় দুই সপ্তাহ পেছাতে আবেদন করেন। কিন্তু পরবর্তী তারিখ না জানতে পারায় সোমবারই দুদকে হাজির হন তিনি।
তিনি বলেন, "আমাকে আনুষ্ঠানিকভাবে যেহেতু জানানো হয়নি, কাজেই আমাকে আসতে হয়েছে।"
দুদকে এসে তিনি জানতে পারেন তার আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে এবং জিজ্ঞাসাবাদের তারিখ পরে জানানো হবে।
এরপর গণমাধ্যমের সামনে দুদকে তার বিরুদ্ধে আসা অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে তৌফিক ইমরোজ খালেদী বলেন, "অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহীন। আমার যেহেতু কিছু মালিকানা ছিলো, সেটার একটি অংশ আমি বিক্রি করেছি। সেটা থেকে কিছু টাকা আমার হিসাবে এসেছে।"
তিনি আরো বলেন, "৬ অক্টোবর আমার অ্যাকাউন্টে টাকা এসেছে, কিছু টাকা আমার আছে। এবং সেই টাকার যেই আয়কর দিতে হয় সেটা আমি দেব।"
এসময় টাকা দাবি করা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, "গুঞ্জন নিয়ে তো আমি কথা বলব না। পদ্মা ব্যাংকের যে কথা উঠেছে আমি শুনেছি যে, ফেইসবুকে একজন পোস্ট দিয়েছে।পদ্মা ব্যাংকের এমডি কে, আমি চিনি না।"
তিনি আরো বলেন, "কারা চিঠি লিখে বলেছে আমার নাকি অবৈধ সম্পদ আছে। অভিযোগ যেহেতু এসেছে, আমি ডিফেন্ড করতে এসেছি। যতদূর পর্যন্ত যেতে হয়, আমি ডিফেন্ড করব। কিন্তু এই রাষ্ট্র ব্যবস্থায় আরেকটু স্বচ্ছতা আনা উচিত। আরেকটু সততা থাকা উচিত।"
তিনি বলেন, এলআর গ্লোবাল যদি নিষিদ্ধ হতো তবে ওই কোম্পানির ব্যাংক চেক ইস্যু করা যেতো না।
তবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত বলছেন, অভিযোগ যাচাই করেই অনুসন্ধান শুরু হয়েছে।
"অনুসন্ধানের জন্য যখন কোনো অভিযোগ গ্রহণ করা হয়, দুর্নীতি দমন কমিশন যাচাই-বাছাই কমিটির মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করেই সেটি করে থাকে। আমরা আশা করি যে অনুসন্ধানের পরে প্রকৃত বিষয় বেরিয়ে আসবে।"
দুদকে কয়েকটি অভিযোগ আসলে খালিদীকে জিজ্ঞাসাবাদের চিঠি পাঠানো হয় ।