এ ঘটনায় মো. আনিসুর রহমান ও মো. ইকবাল হোসেন নামে আরও দুই জামায়াত কর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ শনিবার (১৯শে জুলাই) রাত পৌনে ৩টার দিকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা চৌরাস্তা মোড়ে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। খুলনা থেকে আসা ২৬০টি বাসের মধ্যে একটিতে থাকা মাওলানা আবু সাঈদ এবং তার সঙ্গীরা গাড়ি পার্কিং করে চা পান করছিলেন। এ সময় মাওলানা আবু সাঈদ খেয়াল করেন, তাদের গাড়ির ব্যানারটি খুলে গেছে। তিনি নিজে আরও কয়েকজনের সাথে ব্যানার ঠিক করার কাজ করার সময় পেছন দিক থেকে দ্রুত গতিতে আসা রয়্যাল পরিবহনের একটি বাস তাদের সজোরে ধাক্কা দিয়ে চলে যায়। ঘটনাস্থলেই মাওলানা আবু সাঈদ মারা যান।

নিহত মাওলানা আবু সাঈদ চালনা বিল্লালিয়া আলিম মাদরাসার সহকারী মৌলভী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি স্ত্রী ও চার মেয়ে রেখে গেছেন।

ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রাত ৩টার দিকে একটি সড়ক দুর্ঘটনায় একজন নিহত এবং ২-৩ জন আহত হয়েছেন। আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এদিকে, আজ ঢাকায় অনুষ্ঠিত জামায়াতের সমাবেশে অংশ নিতে খুলনা জেলা ও মহানগর থেকে মোট ২৬০টি বাস এবং ট্রেনের একটি বগি ভর্তি করে নেতাকর্মীরা গেছেন। খুলনা মহানগর জামায়াতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাদের ১১০টি বাসে প্রায় ৭ হাজার নেতাকর্মী ঢাকায় পৌঁছেছেন। এছাড়া ট্রেনের একটি বগিও রিজার্ভ করা হয়েছিল। পাশাপাশি, ব্যক্তি উদ্যোগেও অনেকে সমাবেশে যোগ দিয়েছেন। খুলনা জেলা জামায়াতও আলাদাভাবে প্রায় ১৫০টি বাসে নেতাকর্মী পাঠিয়েছে।

ডিবিসি/এমইউএ