মাহে রমজান

সময়ের পর সাহরি খাওয়া যাবে কি?

লাইফস্টাইল ডেস্ক

ডিবিসি নিউজ

শনিবার ১লা এপ্রিল ২০২৩ ০৩:২৪:০৫ পূর্বাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

রোজা মানুষকে সুশৃঙ্খল জীবন যাপনে উদ্বুদ্ধ করে। এই সময়ে নিয়মিত জীবন যাপনে আসে পরিবর্তন। সিয়াম সাধনার এই মাসে সুস্থ থাকতে ফলিত পুষ্টির আলোকে সময়ের পর সেহরির খাওয়া যাবে কিনা এই বিষয়গুলো সম্পর্কে সচেতন থাকা দরকার-

সেহরির শেষ সময় ছিল ৪টা ৫৪ মিনিট। কিন্তু আমি খাওয়া শেষে দেখি ৫টা বেজে গেছে। কিন্তু ফজরের আজান দেওয়া হয়েছে খাবার শেষ করার পর। এখন আমার রোজা কি শুদ্ধ হবে? নাকি এটি আবার রাখতে হবে?

এই প্রশ্নের উত্তর হলো- আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেন, ‘হে মুমিনগণ! তোমাদের উপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের প্রতি; যাতে তোমরা তাকওয়া অবলম্বনকারী (মুত্তাকি) হতে পার। (সুরা বাকারা, হাদিস : ১৮৩)

আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, ‘যখন রমজান মাসের আগমন ঘটল- তখন আল্লাহর রাসুল (সা.) ইরশাদ করলেন, ‘তোমাদের নিকট বরকতময় মাস রমজান এসেছে। আল্লাহ তাআলা তোমাদের জন্য এ মাসের রোজা ফরজ করেছেন। এ মাসে জান্নাতের দরজাগুলো খুলে দেওয়া হয় এবং জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়।’ 

আর শয়তানদের শিকলে বন্দি করা হয়। এ মাসে এমন একটি রাত আছে, যা হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। যে এর কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হলো- সে তো প্রকৃতপক্ষেই বঞ্চিত।’ (মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ৭১৪৮; সুনানে নাসায়ি, হাদিস : ২৪১৬; মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক, হাদিস : ৮৩৮৩; মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা, হাদিস : ৮৯৫৯)

আল্লাহ তাআলা আরও বলেন, ‘আর পানাহার করো- যতক্ষণ না কালো রেখা থেকে ভোরের শুভ্র রেখা পরিষ্কার দেখা যায়। অতঃপর  রাত পর্যন্ত রোজা পূর্ণ করো।‘ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৮৭)

আল্লাহ তাআলা আরও বলেন, ‘হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহর আনুগত্য করো, রাসুল (সা.)-এর আনুগত্য করো এবং নিজেদের কর্ম বিনষ্ট করো না।’ (সুরা মুহাম্মাদ, আয়াত : ৩৩)

অতএব সেহরির সময় অতিবাহিত হওয়ার পর খেলে রোজা হবে না।

সেহেরিতে সামর্থ্য অনুযায়ী আঁশজাতীয় খাবার গ্রহণ করা প্রয়োজন (লাল চাল, লাল আটা, শাক-সবজি, বিচি জাতীয় শস্য - সিমের বিচি,মটরশুটি প্রভৃতি)। আঁশ জাতীয় খাবার ধীরে হজম হয়, ফলে ক্ষুধা অনুভব কম হয় এবং পর্যাপ্ত শক্তি পাওয়া যায়।

এছাড়াও দেহের পানির চাহিদা পূরণে সেহরির মাঝের সময়ে আড়াই থেকে তিন লিটার বা ৬ থেকে ১৪ গ্লাস নিরাপদ পানি পান করতে হবে। রোজায় পর্যাপ্ত পানি পান করলে মাথাব্যথা, বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়েও সহায়ক হবে।

 

ডিবিসি/ এইচএপি

আরও পড়ুন